স্থানীয়দের অভিযোগ, বছর ঘুরে পৌর করসহ অন্যান্য কর যথাসময়ে পরিশোধ করলেও তারা ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা পাচ্ছেন না। তবে আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন করে ১৬টি সড়ক ও ৫টি ড্রেন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নগরায়ন ও ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে জয়পুরহাটের গুরুত্ব বাড়তে থাকে। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৭৫ সালের ৮ জানুয়ারি ২০ দশমিক ৭২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে জয়পুরহাট পৌরসভা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে এর গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৯১ সালের ১৯ জুন জয়পুরহাট পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠার প্রায় পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সেবা ও উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি এখানকার বাসিন্দারা।
পৌর এলাকার দেবীপুর সড়ক, চিত্রা রোড, ডিসি চত্বর থেকে সরদারপাড়া রোড, ধানমন্ডি রোড ও ডায়াবেটিস সড়কসহ বিভিন্ন মহল্লার অধিকাংশ সড়কের বেহাল দশা। বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়া এবং পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এসব সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩৩ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ
গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন জয়পুরহাটের প্রেসিডেন্ট মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘বছর ঘুরে পৌর করসহ অন্যান্য উৎস কর যথাসময়ে পরিশোধ করলেও ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা পাচ্ছি না। এ ক্ষেত্রে বিগত সরকারের সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছিল না।’
এ বিষয়ে জয়পুরহাট পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আগামী এক মাসের মধ্যে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে অন্তত ৮ থেকে ১০টি সড়কের কাজ শুরু হবে।’
৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট পৌরসভার মোট সড়কের দৈর্ঘ্য ২১৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৪০ কিলোমিটার কার্পেটিং, ১০ কিলোমিটার মাটির, ১৩০ কিলোমিটার আরসিসি ও ৪৫ কিলোমিটার এইচবিবি সড়ক।
]]>