বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন তিনি বিচারিক আদালতে হাজির হন। এরপর তার আইনজীবী মো. মাসুদুর রহমানের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণের শর্তে এক বছরের জন্য তার সাজা স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন রাষ্ট্রপতি। তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন পান মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন /জয়ের নামও মুখে আনতে চান না শফিক রেহমান
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়াসহ মামলার পাঁচ আসামিকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ইতিমধ্যে একইভাবে জামিন পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান।
জানা যায়, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত মিজানুর রহমান ভূঁইয়াসহ ৫ জনকে আলাদা আলাদা দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সাংবাদিক শফিক রেহমান, জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ ও রিজভী আহমেদ সিজার।
আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ: শফিক রেহমানের সাজা স্থগিত
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।