জুলাই ঘোষণাপত্রে আলেম সমাজের অবদান চিত্রায়ণের দাবি আপ বাংলাদেশের

ফ্যাসিবাদবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে দেশের আলেম সমাজ এবং মাদরাসার শিক্ষার্থীদের অবদানকে জুলাই ঘোষণাপত্রে চিত্রায়ণের দাবি তুলেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ।

শনিবার (৩১ মে) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে আয়োজিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র : মাদরাসা শিক্ষার্থী ও আলেম সমাজের ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ দাবি তোলেন বক্তারা।

 

সভায় সাধারণ আলেম সমাজের আহ্বায়ক রিদওয়ান হাসান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সব বিপ্লবের বড় অংশ এ দেশের আলেম সমাজ৷ কিন্তু এ দেশের আলেম- ওলামা এবং মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাংলাদেশবিরোধী হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। নতুন বাংলাদেশে এই বৈষম্য থেকে পরিত্রাণে জুলাই ঘোষণাপত্রে ফ্যাসিবাদবিরোধী অভ্যুত্থানে এ দেশের মাদরাসা শিক্ষার্থী এবং আলেম সমাজের অবদানকে তুলে ধরতে হবে।

 

আরও পড়ুন: নিরপরাধ আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ

 

লেখক ও চিন্তক ইফতেখার জামিল বলেন, এ দেশে সেক্যুলার আধিপত্যের কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মভীরু মানুষেরা নানাভাবে কোণঠাসা। এটিও এক ধরনের ফ্যাসিবাদ, যা থেকে পরিত্রাণের উপায় বের করা জরুরি। জুলাইয়ের ঐক্য ধরে রাখতে এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

 

গবেষক ও চিন্তাবিদ মুসা আল হাফিজ বলেন, সমাজের বৈষম্যমূলক উপাদান সমূহ নিরসনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা না গেলে গণ-অভ্যুত্থানের সব ত্যাগ বৃথা হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন এবং ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সুষম অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তন দরকার।

 

আরও পড়ুন: গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের তালিকাভুক্তির শেষ সময় ২ জুন

 

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যেভাবে বাংলাদেশের আপামর মানুষ ফ্যাসিবাদ এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল ঠিক সেভাবেই নতুন বাংলাদেশের বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে৷ জুলাই ঘোষণাপত্রকে হতে হবে এ দেশের ঐক্যবদ্ধতার দলিল। বিগত দিনে শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে আলেম সমাজের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। এর ইতি টানতে হবে জুলাই ঘোষণাপত্রে তাদেরকে মূল্যায়নের মাধ্যমে।

]]>