জুলাই আন্দোলনে শহীদ রাব্বীর মরদেহ নিজ বাড়িতে দ্বিতীয়বার দাফন

২ সপ্তাহ আগে
বয়স ছিল মাত্র ১৪। হাফেজ মো. রাব্বী মাতব্বর ছিলেন কোরআনের ছাত্র, এক সংগ্রামী পরিবারের স্বপ্ন। ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুরে ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ’ দাবিতে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান তিনি। প্রায় ৯ মাস পর, অবশেষে পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী নিজের গ্রামের বাড়ির আঙিনায় স্থায়ী ঠিকানা পেল শহীদ রাব্বীর নিথর দেহ।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দ্বিতীয়বার দাফন করা হয় তাকে।

 

দাফনের আগে অনানুষ্ঠানিক জানাজায় অংশ নেন স্থানীয় শত শত মানুষ।

 

রাব্বীর বাবা জুয়েল মাতব্বর বলেন, ‘১৯ জুলাই মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় আন্দোলনে গিয়েছিল আমার ছেলে। সন্ধ্যায় পুলিশ আর সরকার সমর্থিত লোকেরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। আমার ছেলের পেটে গুলি লাগে। সে আর বাঁচেনি।’

 

আরও পড়ুন: পারিবারিক কবরস্থান থেকে উধাও ৫ কঙ্কাল, আতঙ্ক

 

পরদিন ২০ জুলাই, পরিবারের ইচ্ছা উপেক্ষা করে দ্রুত মিরপুর সরকারি শিশু কবরস্থানে রাব্বীর দাফন করা হয়।

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তখন মিরপুরে ভাড়া থাকতাম। বাড়ির মালিক ছিল সরকারের ঘনিষ্ঠ। কিছু বলার সুযোগই ছিল না। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আদালতের শরণাপন্ন হই। আদালত অনুমতি দেন কবর থেকে লাশ উত্তোলনের।’

 

জুয়েল মাতব্বর বলেন, ‘সেই কবরস্থানেও রাব্বীর কবর আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমি চেয়েছি আমার ছেলের কবর আমার চোখের সামনে থাকুক। তাই বাড়ির আঙিনায় দাফন করেছি।’

 

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশাদুর রহমান বলেন, ‘মিরপুর থেকে মরদেহ উত্তোলনের সময় স্থানীয় থানার মাধ্যমে আমাদের অবহিত করা হয়। এরপর ঢাকা থেকে লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানো এবং দাফন পর্যন্ত আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’

 

আরও পড়ুন: কবরস্থান পানির নিচে, ২০০ ফিট মাটি ফেলে মরদেহ দাফন!

 

তবে গলাচিপা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাসিম রেজা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাকে অফিসিয়ালি কেউ অবহিত করেননি। তবে ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত আছি।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন