সোমবার (৫ মে) জেলার অভ্যন্তরীণ পাঁচটি রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে ভোগান্ততিতে পড়েছেন যাত্রীরা। কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে।
এর আগে সিএনজি-অটোরিকশা চালকরা বাস শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগে বোরবার (৪ মে) সন্ধ্যায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয় বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
এর পরই জেলার অভ্যন্তরীণ পাঁচটি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাস শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে একই সময় থেকে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় চালকরা। এতে চরফ্যাসন, লালমোহন ও তজুমদ্তিনের মতো দূর-দূরান্তের উপজেলার যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে ইজিবাইক, মাইক্রো ও মোটরসাইকেলে বিকল্প উপায়ে যাতায়াত করলেও অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় গ্যাস পরিবহনের গাড়ি আটকে মশাল মিছিল
দুর্ভোগ লাগবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।
এদিকে সিএনজি অটোরিকশাকে মহাসড়কে অবৈধ উল্লেখ করে সেগুলো বন্ধ ও হামলা ভাঙচুরের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মন্নান। তার দাবি সিএনজি-অটোরিকশা চালকরা কিছুদিন পর পর পরিকল্পিতভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে তাই আর কোনো সমঝোতা তারা করবেন না।
আর সড়কে চালকদের নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতির বিচার চেয়ে চলাচল বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন সিএনজি-অটোরকশা ও থ্রি হুইলার চালক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন। বাস শ্রমিকদের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করে উল্টো বাস শ্রমিকরা তাদের মারধর করার অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভোলায় যুবককে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে চোখ উপড়ে দিলো প্রতিপক্ষ
এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রোববার বিকেল থেকেই বাস টারমিনালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
]]>