আবার জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাব দেয়া যাবে কি না বা ওই আজানের জবাব দেয়া নিষেধ কি না সেই প্রশ্নও করে থাকেন কেউ কেউ।
জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাব দেয়ার ব্যাপারে আলেমদের দুই ধরনের মতামত রয়েছে। নির্ভরযোগ্য মত অনুযায়ী জবাব দেয়া জায়েজ।
আবু উমামা ইবনে সাহল ইবনে হুনাইফ বলেন, আমি মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানকে (রা.) দেখেছি, তিনি মিম্বারে বসে ছিলেন, মুয়াজ্জিন আজান শুরু করলেন। মুয়াজ্জিন যখন বললেন, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’ তখন মুয়াবিয়াও (রা.) বললেন, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।’… (এভাবে তিনি পুরো আজানের জবাব দিলেন) আজান শেষ হলে তিনি বললেন, এ মজলিসে যখন মুয়াজ্জিন আজান দেয়, তখন আমি আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমনটিই বলতে শুনেছি। (বুখারি ৯১৪)
আরও পড়ুন: কোরআনে বর্ণিত ঈসা নবীর জন্মের ঘটনা
প্রখ্যাত তাবেয়ি সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব (রহ.) বলেন, ইমাম খুতবার জন্য বের হলে নামাজ পড়া যাবে না এবং খুতবা শুরু করে দিলে আর কথা বলা যাবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা: ৫৩৪২)
অর্থাৎ খুতবা শুরু করার আগ পর্যন্ত কথা বলার বৈধতা রয়েছে। তাই আজানের জবাব দেয়া যেতে পারে। আজানের দোয়া পড়ার আগে ইমাম খুতবা শুরু করলে দোয়া পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
তবে অনেক আলেমের মতে ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকেই কথা বলা বন্ধ রাখতে হবে। তাই খুতবা পূর্ববর্তী আজানের জবাব দেয়া যাবে না। হজরত আতা (রহ.) থেকে বর্ণিত রয়েছে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) ও আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) জুমার দিন ইমাম সাহেব খুতবার জন্য বের হওয়ার পর নামাজ পড়া ও কথা বলা অপছন্দ করতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ৫৩৪০)
তাই কেউ কেউ দ্বিতীয় আজানের জবাব দেয়া মাকরুহ বলে থাকেন। তবে কেউ যদি জবাব দেয় তাহলে তাকে নিষেধ করার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে উত্তম হলো কেউ প্রথম আজানের জবাব দিয়ে থাকলে ফজিলত অর্জনের জন্য সেই জবাবই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: নবীজি যে ৪ আমল কখনো ছাড়তেন না
আর যদি কেউ প্রথম আজানের জবাব না দিয়ে থাকে তাহলে তার জন্য উত্তম হলো দ্বিতীয় আজানের পর আওয়াজ না করে জবাব দেয়া। ইমাম আজানের সাথে সাথে খুতবা শুরু করলে আজানের দোয়া না পড়ে খুতবা শোনা।
]]>