জুতার ফিতা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধের পর গলা কেটে হত্যা করা হয় ইমনকে

১ সপ্তাহে আগে
রাজশাহীতে যুবক আমানুল্লাহ ইমন (২২) হত্যার জট খুলেছে। পাওনা টাকা না দেয়ায় ক্ষদ্ধ হয়ে জুতার ফিতা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ ও ব্লেড দিয়ে ইমনের গলা কেটে হত্যার পর পালিয়ে যান খুনিরা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এরপরই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানান আরাফাত হোসেন নাহিদ (২৪) ও আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফ (২৫)।


বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশের মুখপাত্র বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।


নিহত আমানুল্লাহ ইমন গোদাগাড়ী উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মো. কামরুজ্জামানের ছেলে।


এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর এই খুনের ঘটনায় নাহিদকে গোদাগাড়ী এবং আলিফকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার দুজন মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।


আরও পড়ুন: পাওনা টাকা চাওয়ায় করিমকে পিটিয়ে ‘মারল’ ওরা


গ্রেফতাররা হলেন- গোদাগাড়ীর নলত্রী গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে আরাফাত হোসেন নাহিদ, তিনি পেশায় চালক ও আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সাতনইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। তিনি চালকের সহকারী।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নাহিদ ১০ হাজার টাকা পেতেন ইমনের কাছে। গত ২৮ ডিসেম্বর নাহিদ তার হেলপার আলিফকে টাকা আনতে পাঠান ইমনের কাছে। কিন্তু ইমন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নাহিদ ও আলিফ ইমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি জুতার ফিতা, একটি ব্লেড ও একটি সাদা গেঞ্জি সংগ্রহ করেন।


আরও পড়ুন: পাওনা টাকা চাওয়ায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুন


তারা ২৮ ডিসেম্বর নলত্রী গ্রামে ইমনকে দেখতে পান। এ সময় পেছন থেকে নাহিদ তাকে জাপটে ধরেন এবং আলিফ গেঞ্জি দিয়ে মুখ বেঁধে জুতার ফিতা দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। এতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে যায় ইমনের। তখন আলিফ ব্লেড দিয়ে ইমনের গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর দুজন পালিয়ে যান। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৩০ ডিসেম্বর মামলা করেন নিহতের বাবা।


এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) এম এ কুদ্দুস  অভিযান শুরু করেন। নাহিদকে গোদাগাড়ী এবং আলিফকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তারা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন