জাহাজে সাত খুন: লাগাতার কর্মবিরতিতে পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকরা

২ সপ্তাহ আগে
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মোংলা বন্দরেও বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিট থেকে লাগাতার এ কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


জানা গেছে, চাঁদপুরে পণ্যবোঝাই কার্গো জাহাজে একই সঙ্গে ৭ শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। সেই মামলায় একজন গ্রেফতার হলেও বাকিরা গ্রেফতার হয়নি। তাদের গ্রেফতার, নিহত শ্রমিকের প্রতি পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, নৌপথে ডাকাতি ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে নৌযান শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতির শুরু করেন।


বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা জানান, ২৩ ডিসেম্বর রাতে চাঁদপুরে সারবোঝাই জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এক সঙ্গে ৭ শ্রমিককে হত্যা করা হয়। পুলিশ ও স্বজনদের ধারণা এটি পূর্ব পরিকল্পিত। মাস্টারসহ সাত শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন, এ হত্যার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কিনা তা তদন্তপূর্বক তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা এবং নৌপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ডাকাতি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে ফেডারেশন। তবে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ২৫ ডিসেম্বর মোংলা শহরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ থেকে কর্মবিরতির আল্টিমেটাম দেয়া হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছিল না। এজন্য বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ২৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে মালবাহী, তৈল-গ্যাসবাহী ও বালুসহ সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছে।


আরও পড়ুন: জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকরা


এ অবস্থায় মোংলা বন্দরে ১৫টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। দুইটি বন্দর ত্যাগ করবে এবং নতুন আরও একটি বন্দরে প্রবেশ করবে। লাগাতার কর্মবিরতি অব্যাহত থাকলে এসব জাহাজের পণ্য খালাস-বোঝাইয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে বলে জানায় বন্দরের হারবার বিভাগ।


নৌযান শ্রমিকদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবে বলেও জানায় ফেডারেশনের নেতারা। তবে যাত্রীবাহী নৌযান কর্মবিরতির আওতাভুক্ত থাকবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন