জালেম নমরুদের ভয়াবহ পরিণতি

১ সপ্তাহে আগে
একচ্ছত্র ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন আবার যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা থেকে নামান।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, 

 

বলুন, হে আল্লাহ! সারা জাহানের অধিপতি আপনি। যাকে ইচ্ছা রাজত্ব দান করেন, যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নেন এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত করেন। আপনারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই আপনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাশীল। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ২৬)

 

মহান আল্লাহ ক্ষমতা বা যেকোনো নেয়ামত দিয়ে পরীক্ষা করেন। সে কীভাবে নেয়ামতের ব্যবহার করছে তার ওপর নির্ভর করে নেয়ামত বাড়িয়ে দেন অথবা কেড়ে নেন। ইসলামে শাসকের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি। শাসক হয়ে জালেম বা স্বৈরাচারের ভূমিকায় আসীন হওয়া মহা অন্যায়। মহান আল্লাহ ক্ষমতা মুহূর্তেই কেড়ে নিতে পারেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এর বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। এখানে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত জালেম নমরুদের পরিণতির কথা তুলে ধরা হলো --

 

আরও পড়ুন: বর্ষপূর্তি পালন নিয়ে যা বললেন বায়তুল মোকাররমের খতিব

 

পৃথিবীতে দীর্ঘ ৪০০ বছর শাসন করেছিল নমরুদ। সে চরম পর্যায়ের ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছিল পৃথিবীতে। পৃথিবীর ইতিহাসে মহান আল্লাহর সঙ্গে প্রথম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছিল সে। মহান আল্লাহ শাস্তিস্বরূপ একটি মশা তার নাকে প্রবেশ করান। মশার অসহ্যকর জ্বালা-যন্ত্রণা থেকে নিজেকে বাঁচাতে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত পর্যন্ত করে; কিন্তু এতেও তার শেষ রক্ষা হয়নি, বরং শাস্তির মাত্রা আরও বহুগুণ বেড়েছে।পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, 

 

তুমি কি ওই ব্যক্তির অবস্থা চিন্তা করোনি, যাকে আল্লাহ রাজত্ব দান করার কারণে সে নিজ প্রতিপালকের (অস্তিত্ব) সম্পর্কে ইবরাহিমের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয়? যখন ইবরাহিম বলল, তিনি আমার প্রতিপালক, যিনি জীবনও দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। তখন সে বলল, আমিও তো জীবন দান করি ও মৃত্যু ঘটাই। ইবরাহিম বলল, আচ্ছা, আল্লাহ তো সূর্যকে পূর্ব থেকে উদিত করেন, তুমি তা পশ্চিম থেকে উদিত করো তো! এ কথায় সেই কাফির নিরুত্তর হয়ে গেল। আর আল্লাহ এরূপ জালিমদের হেদায়াত করেন না। (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৮)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন