জার্মানিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একের পর এক আত্মহত্যায় উদ্বেগ

২ সপ্তাহ আগে
জার্মানিতে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা। গেল কয়েক মাসে একের পর এক তরুণ আত্মহত্যা করছেন। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

উচ্চশিক্ষা, গবেষণা কিংবা পড়াশোনা শেষে ক্যারিয়ার গড়ার অন্যতম গন্তব্য জার্মানি। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, শিল্প-সাহিত্য আর আধুনিক জীবনের আকর্ষণে দেশটিকে বেছে নিচ্ছেন হাজারো বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। কিন্তু গেল কয়েক মাসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এতে হতবাক হয়ে গেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

 

সিলেটের মৌলভীবাজারের সন্তান সুলতান মারুফ আহমেদ পড়তে এসেছিলেন ডার্মস্টাড বিশ্ববিদ্যালয়ে। চলতি বছরের মার্চের ১২ তারিখ তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে কারণ আজও অজানা।

 

এরপর জুনের ৬ তারিখ বার্লিনে উদ্ধার হয় মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন মিয়া প্রীতমের মরদেহ। নোয়াখালীর এ তরুণ পড়তেন ব্রান্ডেনবুর্গের টেকনিক্যাল হাইস্কুল ভিলডাউ-তে। 

 

গত ১২ জুন জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফারহান হোসেনের (২৪) লাশ তার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। তিনি বার্লিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।

 

আরও পড়ুন: কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দূতাবাসের জরুরি বার্তা

 

এর এক মাস পরই জুলাইয়ের ৬ তারিখে আত্মহত্যা করেন ফেনীর দাগনভূঁইয়ার এ এস এম নুরুসসাফা তামিম। হাম লিপস্টাড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রের মৃত্যুতে হতবাক প্রবাসী বাংলাদেশিরা। 

 

এর আগেও জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশি এক তরুণী, নর্দরাইন ওয়েস্টফালেনের ছোট্ট শহর মিনডেনে বাংলাদেশি তরুণের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।

 

কিন্তু কেন এই সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন? সহপাঠীরা বলছেন, জার্মানিতে এসে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ না পাওয়া, পারিবারিক চাপ, আর্থিক সংকট ও একাকীত্বই এসব অপমৃত্যুর বড় কারণ। 

 

আরও পড়ুন: ইতালিতে ‘ও লেভেল’ পরীক্ষায় বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের অভাবনীয় সাফল্য

 

এমন ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কমিউনিটি নেতারা। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে সাপোর্ট দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।  মনোবিজ্ঞানীদের মতে, প্রত্যাশা আর বাস্তবতার ফারাক, মানসিক চাপে বেছে নেয় আত্মহননের পথ। সময়মতো কাউন্সেলিং পেলে হয়ত ফিরিয়ে আনা যেতো স্বাভাবিক জীবন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন