সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামানের আশুলিয়া থানায় করা মামলায় বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সাভার থেকে গ্রেফতার করা হয় ক্রিম আপাকে। এরপর তাকে আশুলিয়া থানায় নেয়া হয়।
গ্রেফতার হওয়ার পর শারমিন শিলা আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু শিশুকে আঘাত, উৎপীড়ন ও অশালীনভাবে প্রদর্শনের অভিযোগে শিশু আইনের ৭০ ধারায় শুনানি শেষে মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুকের আবেদনে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জিনাত জাহানের আদালত ক্রিম আপাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সপরিবারে আত্মহত্যার হুমকি, ‘ক্রিম আপা’ এখন কোথায়?
টাকা আয়ের জন্য সন্তানদের ওপর ‘নির্যাতন চালিয়ে’ ভিডিও বানানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ‘ক্রিম আপা’। ভিডিওর ভিউ পাওয়ার আশায় এ বিতর্কিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর প্রায়ই তার সন্তানদের জোর করে খাবার খাওয়ানো, চুলে কেটে ফেলা বা কালার করা, ভুল করলে গালাগালি দেয়াসহ বিভিন্ন শারীরিক নির্যাতন করেন। যা পরিবার ও সমাজে অবক্ষয়ের কারণ হতে পারে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন ‘ক্রিম আপা’
তবে অভিযুক্তের দাবি, তিনি তার শিশুদের নির্যাতন করেন না। বরং সংসার চালানোর জন্য ওইরকম ভিডিও তৈরি করেন। এমন পরিস্থিতিতে পরতে হবে, তিনি কখনই ভাবেননি। মামলা দায়ের হওয়ায় পরিবারসহ নিজে কীভাবে চলবেন, সন্তানদের কীভাবে খাওয়াবেন সে চিন্তায় কান্নায় ভেঙে পড়েন ক্রিম আপা খ্যাত শারমিন শিলা।
]]>