জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্বল্প ব্যয়ে আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলবে বেজা

২ সপ্তাহ আগে
জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের জন্য স্বল্প ব্যয়ে আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। শিল্পায়নকে গতিশীল করা ও আবাসন সংকট নিরসনে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) এ বিষয়ে আয়োজিত এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।


এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। সভায় বেজা, বিডা, মিডা ও পিপিপি কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, আইএফসির সিনিয়র অপারেশন্স অফিসার মিজ আয়েশা বেগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


সভায় জানানো হয়, শিল্প নগরে শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের যাতায়াত সহজ করতে এক জায়গায় সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিত আবাসন গড়ে তোলা হবে। একই সঙ্গে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও এই উদ্যোগে বেজাকে সহায়তা করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

 

আরও পড়ুন: শিল্পখাতের বর্জ্যকে পুনঃব্যবহারযোগ্য করার তাগিদ শিল্প উপদেষ্টার


প্রাথমিকভাবে একটি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে একাধিক ডেভেলপার নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এসব ডেভেলপার পরিকল্পিতভাবে আবাসন নির্মাণ করবে এবং পরে শিল্প প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী তা বরাদ্দ দেয়া হবে। তবে প্রক্রিয়া শুরুর আগে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদন করে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।


সভায় অংশগ্রহণকারীরা জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, বিনিয়োগবান্ধব নগরী গড়ে তুলতে হলে যুগোপযোগী, নাগরিক সুবিধাসম্পন্ন ও পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা দ্রুত নিশ্চিত করা জরুরি। এ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মত দেন তারা।


এর আগে নগর উন্নয়ন অধিদফতর আবাসন খাতকে গুরুত্ব দিয়ে ‘মীরসরাই উপজেলা মাস্টারপ্ল্যান’ প্রণয়ন করেছে, যা জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরেই অবস্থান করছে।


উল্লেখ্য, বেজা বর্তমানে চট্টগ্রামের মীরসরাই এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ শিল্প শহর গড়ে তুলছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার এবং বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ নগরীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সমুদ্রবন্দর, পানি শোধনাগার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আবাসিক এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালসহ বিশ্বমানের সব সুবিধা থাকবে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করেছে এবং আরও প্রায় ২৫টি প্রতিষ্ঠান নির্মাণাধীন রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন