বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দ্বিতীয় দফায় ব্রিফিং-এ তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, আজকে মূলত সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, মৌলিক অধিকার, আইন বিভাগ পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে। বাকি আলোচনা রোববার (২০ এপ্রিল)। এক্সিকিউটিভ থেকে পরের আলোচনা শুরু হবে। সংবিধানের কমিশনের বিচার বিভাগ সংক্রান্ত যে রিপোর্ট আছে তা বিচার বিভাগের সঙ্গে একসঙ্গে আলোচনা হবে। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন নিয়ে আলোচনা হয়নি।
তিনি বলেন, সংবিধানের প্রিএমম্বেল, প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক বিষয়ে একমত হয়েছি। কিছু বিষয়ে আমরা আলোচনা করে সুচিন্তিত মতামত দেব। তারাও আলোচনা করবেন। দলীয় ফোরামের কিছু বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। ৮০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচারে সামাজিক কালচারে এবং প্র্যাকটিসে অর্থবিল ছাড়া অন্য বিষয়ে ৭০ অনুচ্ছেদ ওপেন করলে সরকারের স্থায়িত্ব থাকবে না। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাপক বাধা আসতে পারে। সেই অভিজ্ঞতা অতীত রাজনীতি এবং পূর্ব ইতিহাসে নজির আছে। তাই আমরা বলেছি অর্থ বিল, সংবিধান সংশোধন বিল, আস্থা ভোট, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিল ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে সংসদ সদস্যদের ভোট দিতে বাধা থাকবে না।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের শক্ত ভিত্তিতে দাঁড়া করাতে পারিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে তখন ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে আরও আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে। গণভোট ও সংবিধান সংশোধন বিষয়ে বলা হয়েছে। উভয় কক্ষে পাশ করার পরে যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে আমরা বলেছি সকল সংশোধনী গণভোটের জন্য প্রযোজ্য নয়। গণভোটের জন্য নির্ধারিত থাকবে আর্টিকেল ৮, ৪৮ ৬৬ এবং ১৪২। এ সমস্ত ক্ষেত্রে পরবর্তী সংসদ যদি গণভোটের জন্য কিছু এড করতে চায় তবে করবে।
সালাউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, এনসিসির ক্ষেত্রে নীতিগত ভাবে একমত হইনি। সংবিধানের ৮, ৯, ১০, ১২ ক্ষেত্রে পঞ্চদশ সংশোধনীর পূর্ববর্তী অবস্থায় ফেরত যেতে চেয়েছি। এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও সংবিধানের মূলনীতিতে পঞ্চম সংশোধনীর মতো সমর্থন করার কথা বলেছি। সেটাতে ধর্ম নিরপেক্ষতা নাই। সাম্য মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার করার কথা বলেছি।