পদত্যাগকারীরা হলেন—জাতীয় পার্টির সাবেক মহানগর সভাপতি আবদুল গফফার বিশ্বাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোল্লা শওকত হোসেন বাবুল এবং অ্যাডভোকেট এস এম মাসুদুর রহমান।
দীর্ঘদিন ধরে দলীয় রাজনীতিতে কোণঠাসা এই তিন নেতা জানান, আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠতার কারণে জাতীয় পার্টিতে তাদের গুরুত্ব হারায়। যদিও গত বছরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রওশন এরশাদ অনুসারীরা ঘোষিত কমিটিতে তাদের নাম ছিল, তবে তাতে কোনো সক্রিয় দায়িত্ব পাননি তারা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, রাজনীতিতে শুদ্ধতা ফিরিয়ে আনতেই আমাদের পদত্যাগ। আমরা ভুলের দায় স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইছি। এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেখানে জনগণের কাঁধে আর কোনো স্বৈরশাসক চেপে বসতে না পারে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতা মাকসুদ হোসেনের ৪ দিনের রিমান্ড
নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে তারা জানান, আপাতত এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। তবে রাজনীতি একটি চলমান প্রক্রিয়া—সময় হলে জানানো হবে।
আবদুল গফফার বিশ্বাস এর আগেও বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় আমি বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলাম। নির্যাতন-হত্যার প্রতিবাদে সেদিন সরে দাঁড়াই। পরে জাতীয় পার্টি যখন ভুল পথে হাঁটে, তখনও আমি নিজেকে গুটিয়ে নিই।’
গত দেড় দশক ধরে গফফার বিশ্বাস খুলনার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন, যার মধ্যে রয়েছে মোটর বাস মালিক সমিতি ও নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতি। অপরদিকে মাসুদুর রহমান দীর্ঘদিন সরকারি আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: দ্রুত নির্বাচনের রূপরেখা চায় জাতীয় পার্টি
দলীয় সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্নে গফফার বিশ্বাস বলেন, `যাদের ঘনিষ্ঠ বলে ধরা হয়, তাদের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে আমিই ছিলাম সবচেয়ে সোচ্চার।'
]]>