‘জাজাকাল্লাহু খাইরান’ বলার নিয়ম

১ সপ্তাহে আগে
কৃতজ্ঞতা অনন্য গুণ। এটি মানুষকে সম্মানিত করে। এটি ইসলামের শিক্ষা। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।’ অথবা ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, সে আল্লাহর প্রতিও অকৃতজ্ঞ।’ (আবু দাউদ: ৪৮১১)

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কৃতজ্ঞতা আদায়ের শিক্ষা দিয়েছেন। উপকারীর জন্য দোয়া করার নির্দেশ দিয়েছেন।

 

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

 

যে ব্যক্তি তোমাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করে তোমরা তার উত্তম প্রতিদান দাও। প্রতিদান দেয়ার মতো কিছু না পেলে তার জন্য দোয়া করতে থাকো, যতক্ষণ না তোমরা অনুধাবন করতে পারো যে তোমরা তার প্রতিদান দিতে পেরেছ। (আবু দাউদ: ১৬৭২)

 

উপকারকারীর উপকার করার সামর্থ্য না থাকলে কমপক্ষে তার জন্য দোয়া করা। হজরত ওসামা ইবনে জায়েদ (রা.) বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কাউকে অনুগ্রহ করা হলে সে যদি অনুগ্রহকারীকে বলে, ‘জাজাকাল্লাহু খাইরান’ (আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন), তাহলে সে উপযুক্ত ও পরিপূর্ণ প্রশংসা করল। (তিরমিজি: ২০৩৫

 

জাজাকাল্লাহ-এর আরবি, উচ্চারণ ও অর্থ

 

جَزَاكَ اللَّٰهُ خَيْرًا উচ্চারণ: জাজাকাল্লাহু খাইরান। (অর্থ: আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।) 

 

কারও থেকে কোনো উপকার পেলে তাকে ‘জাযাকাল্লাহ’ বলা উচিত। কেউ সামান্য উপকার করলেই জাজাকাল্লাহ বলবো। জাযাকাল্লাহ-এর সঙ্গে খাইরান শব্দ যোগ করে ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলা অধিক উত্তম।

 

আরও পড়ুন: এবার হজে গিয়ে ৫ বাংলাদেশির মৃত্যু


জাজাকাল্লাহু খায়রান এর উত্তরে ওয়া-ইয়্যাক (একজনকে), বা ওয়া-ইয়্যাকুম (একের অধিককে) ব্যবহৃত হয়, যার অর্থ এবং আপনার/ আপনাদের প্রতিও)। তবে বেশি প্রচলিত জবাব হল: ওয়া-আনতুম ফা-জাযাকুমুল্লাহু খায়রান, যার অর্থ এবং আপনাকেও আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন।  (আস-সহিহাহ: ৩০৯৬)
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন