এর নামের মূল শব্দ জামাদ, যার অর্থ ‘শুষ্ক, বৃষ্টি-বিহীন, বা রুক্ষ’। এ থেকেই বোঝা যায়, এই মাসটি সাধারণত শুষ্ক সময়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। আরবি ভাষায় একে কখনও জুমাদা-আল-উলা (جمادى الأولى) বলা হয়, যার অর্থ ‘শুষ্ক মাসের প্রথম অংশ’ বা ‘দায়িত্ব নেওয়ার সময়’।
ঐতিহাসিক ঘটনা
জমাদিউল আউয়াল মাসেই সংঘটিত হয় মুতা যুদ্ধ (Battle of Moota)। এই যুদ্ধে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে অংশ নেননি; তার পক্ষ থেকে সেনাপতিত্ব করেন হজরত যায়েদ ইবন হারিসা রাদিয়াল্লাহু আনহু।
মুতা নামটি এসেছে সিরিয়ার একটি শহর থেকে, যেখানে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই মাসে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সঙ্গে হযরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: নবীজির প্রিয় স্ত্রী
হজরত যায়েদ (রা.) এই মাসেই শহীদ হন। একইভাবে হজরত জাফর (রা.) এবং হযরত আবদুল্লাহ (রা.)-র শাহাদাতও এই মাসে ঘটে। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাদা আবদুল মুত্তালিব (রা.)-এর ইন্তিকালও এই মাসেই হয়।
হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু) নবী করিম (সা.)-এর ঘনিষ্ঠ সাহাবি, ইসলামিক ক্যালেন্ডার চালু করার উদ্যোগ নেন। খ্রিস্টাব্দ ৬৩৮ সালে, মুসলিম সমাজের নেতা হিসেবে তিনি তাঁর পরামর্শদাতাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন, সেই সময়ের বিভিন্ন তারিখ ব্যবস্থাপনা নিয়ে। আলোচনার পর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় যে, হিজরাহ (মক্কা থেকে মদিনায় নবীর গমন) হবে ইসলামি বর্ষ গণনার সূচনা বিন্দু কারণ এটি মুসলিম জাতির জীবনে এক বিশাল মোড় ঘুরানোর ঘটনা ছিল।
জমাদিউল আউয়ালের গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহ
৫ জমাদিউল আউয়াল-হজরত জয়নাব বিনতে আলি (রা.)-এর জন্ম।
১০ জমাদিউল আউয়াল-নবী করিম (সা.)-এর কন্যা হযরত ফাতিমা (রা.) ২৩ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন।
১৩-১৫ জমাদিউল আউয়াল-আইয়্যামুল বীজ (সাদা দিনসমূহ) রোজা রাখার সুন্নত দিন।
১৩ জমাদিউল আউয়াল-হজরত ফাতিমা (রা.)-কে তাঁর স্বামী হযরত আলি ইবনু আবি তালিব (রা.) দাফন করেন।
১৫ জমাদিউল আউয়াল-হজরত আলি ইবনুল হুসাইন (যাইনুল আবিদিন রা.)-এর জন্ম।
২২ জমাদিউল আউয়াল-জামাল যুদ্ধ (Battle of Camel) সংঘটিত হয়, যা হযরত আয়েশা (রা.) ও হযরত আলি (রা.)-এর মধ্যে হয়েছিল। এই যুদ্ধে বিজয় লাভ করেন হযরত আলি (রা.)।

৩ সপ্তাহ আগে
৮







Bengali (BD) ·
English (US) ·