বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়নের কঠিন সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, গতকালের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর যেই ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে সেটি মেনে নেয়া যায় না। পরে আবার তথ্য উপদেষ্টার আগমনে যেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার জন্যও আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা আশা করেছিলাম সেই উপদেষ্টা ছাত্রদের খোঁজ আগে নেবেন, কিন্তু তিনি করলেন তার উল্টোটা।
জবির এই অধ্যাপক হুঁশিয়ার করে বলেন, জুলাই আন্দোলন না হলে তুমি উপদেষ্টা হতে পারতা না। তাই ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদি আচরণ করা যাবে না।
আরও পড়ুন: দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জবি শাটডাউন ঘোষণা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন উল্লেখ করে অধ্যাপক রইস আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া। আর এ কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য সব ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বিগত সরকারের আমলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন ৯০০ কোটি টাকা বাজেট পায় তখন জবি পেয়েছে ১৪০ কোটি টাকা।
এবার ৪ দফার আন্দোলন
তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু হলেও এবার শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো—বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা, জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাস ও বাস্তবায়ন, ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
]]>