ছয় মাস ধরে ওষুধ মিলছে না গাইবান্ধার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে

৩ সপ্তাহ আগে
গাইবান্ধা জেলার সকল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ওষুধ বিতরণ বন্ধ রয়েছে। ওষুধের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে জেলার মা ও শিশুসহ গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল নিম্ন আয়ের মানুষ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ওষুধের অভাবে ভেঙে পড়েছে গাইবান্ধা জেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা সেবা। পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা, প্রসূতি সেবাসহ গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় গ্রামের অধিকাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ এসব কেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল।

 

জ্বর, সর্দি, কাশি, প্রসূতি ও শিশুদের বিভিন্ন অসুখের চিকিৎসার জন্য এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলেও এখন ওষুধ না পেয়ে রোগীদের খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে না পেরে অর্থাভাবে বিপাকে পড়েছেন জেলার কয়েক লাখ নিম্ন আয়ের মানুষ।

 

স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আগে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হলেও গেল অক্টোবর থেকে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে স্বাস্থ্য সেবার জন্য আসা মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

 

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে হতাশ নারীরা। ছবি: সময় সংবাদ

 

ফুলছড়ি উপজেলার একাডেমি এলাকার বাসিন্দা সাবিনা বেগম বলেন, ‘আগে আমাদের মহিলাদের সব ওষুধ এখানে পেতাম, এখন অনেক দিন থেকে ওষুধ পাওয়া যায় না। টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারি না।’

 

কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা শালু বলেন, ‘গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। ওষুধ না থাকায় তারা খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে। দ্রুত ওষুধ সরবরাহ শুরু করা প্রয়োজন।’

 

দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকারা জানান, শুধু পরামর্শ দিয়ে পাঠাতে গিয়ে নিয়মিত বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হচ্ছে। ওষুধের অভাবে রোগীদের ক্ষোভও বাড়ছে।

 

আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় জুয়া ও অশ্লীল নৃত্যর আসরে জনতার আগুন

 

গাইবান্ধা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম জানান, ‘অধিদপ্তরের ওষুধ ক্রয় সংক্রান্ত জটিলতায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ওষুধ ক্রয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সমাধান হলে ওষুধ বিতরণ স্বাভাবিক হবে।’

 

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার সাত উপজেলায় ৫৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও চারটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাস থেকে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন