ছাত্রীদের শোবার ঘরে সিসি ক্যামেরা: সেই কওমি মাদ্রাসাটি বন্ধের নির্দেশ

১ সপ্তাহে আগে
ছাত্রীদের শোবার ঘরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের অভিযোগ তদন্তের পর যশোরের শার্শার নাভারণ এলাকার ফাতিমাতুজোহারা নামে সেই কওমি মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) স্থানীয় প্রশাসন ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের যৌথ সিদ্ধান্তে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।


এর আগে এক অভিভাবকের অভিযোগের পর গত বুধবার (৯ এপ্রিল) ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা, মনিটর এবং সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।


আরও পড়ুন: যশোরে ছাত্রীদের শোয়ার ঘরে সিসি ক্যামেরা, শিক্ষকের কক্ষে মনিটর 


এ ছাড়া বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। স্থানীয় প্রশাসন ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা কার্যালয়ে। এদিন পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে মাদ্রাসাটি বন্ধের পাশাপাশি শনিবারের মধ্যে সব ছাত্রীকে পরিবারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ভবিষ্যতে মাদ্রাসাটির অবস্থান নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

 

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, বৈঠকে কওমি বোর্ডের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল কামির যশোরীসহ ৩০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা তরিকুল ইসলাম ঘটনায় নিজের ভুল স্বীকার করে লিখিত ব্যাখ্যা দেন।


আরও পড়ুন: নীলফামারী শহরের সিসি ক্যামেরাগুলো গেল কোথায়?


এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) আল নাহিয়ান জানান, সংরক্ষিত ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে এখন থেকে কোনো মেয়েদের মাদ্রাসায় সিসি ক্যামেরা ব্যবহার না করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন