পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গোলাবাড়ী এলাকায় তিন একর জমির ওপর স্থাপিত এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ২০০৬ সালের ১১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। চালুর পর থেকেই পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা এর প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে অনুভব করছেন।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অধীনে এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত খাগড়াছড়ি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বর্তমানে ১৩টি সময়োপযোগী কোর্স চালু রয়েছে। তবে এত সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও আবাসিক হোস্টেল না থাকায় রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছেন না।
পাহাড়ি এলাকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় শহরে বাসা ভাড়া করে থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অনেকেই মাঝপথে প্রশিক্ষণ ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
প্রশিক্ষণার্থী রমেল চাকমা, সুচরিতা চাকমা ও মংক্যচিং মারমা জানান, তারা কেউ রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, কেউ খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলা থেকে এসে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। কিন্তু আবাসিক ব্যবস্থা না থাকায় তাদের খাগড়াছড়ি শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে, যা তাদের জন্য বড় অর্থনৈতিক বোঝা। সরকার থেকে নাস্তা বাবদ যে সামান্য অর্থ প্রদান করা হয়, তা যাতায়াত খরচেই শেষ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চার লোহার সেতু যেন দীঘিনালার-লংগদুর গলার কাঁটা
খাগড়াছড়ি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর ধনঞ্জয় সরকারও স্বীকার করেছেন, ছাত্রাবাস না থাকায় প্রশিক্ষণার্থীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নারায়ন চন্দ্র খাঁ বলেন, ‘সারা দেশের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে সাধারণত আবাসিক হোস্টেল নেই। তবে তিন পার্বত্য জেলার ভৌগোলিক অবস্থার কারণে এখানে একটি হোস্টেল নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’
তিনি আরও জানান, বর্তমানে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১৩টি কোর্সে সাড়ে তিন শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
এদিকে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন, দ্রুত খাগড়াছড়ি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আবাসিক হোস্টেল নির্মাণ করা হবে, যাতে পাহাড়ের দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীরাও জীবনমুখী শিক্ষার সুযোগ পায়।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৭







Bengali (BD) ·
English (US) ·