মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ দাবি জানান তিনি।
হাসনাত পোস্টে উল্লেখ করেন, আমাদের ভাই সাম্যর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর যেন অন্তত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদক, চাঁদাবাজি ও অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হওয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কঠোর নজরদারির আওতায় আনার তাগিদ অনুভব করে।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যার বিচার চেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাঁড়াশি অভিযান চালাতে বললেন সারজিস
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সাম্য ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত সাম্যের বন্ধু বায়েজীদ জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহরিয়ার আলম সাম্য, বায়েজীদ আব্দুল্লাহ ও রাফি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন রমনা কালীমন্দিরের গেট দিয়ে একটি মোটরসাইকেলে বের হচ্ছিলেন। এ সময় তাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে অপর একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে।
তিনি জানান, অপর মোটরসাইকেলে থাকা আরোহী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তার সঙ্গে থাকা আরও ১০-১২ জন চারটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের সঙ্গে সাম্য এবং তার বন্ধুদের কথা-কাটাকাটি হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েন সাম্যরা। দলটির প্রত্যেকে মারধর করতে শুরু করেন সাম্যদের। মারামারির এক পর্যায়ে সাম্যকে ছুরি দিয়ে জখম করে বসেন একজন। আহত হন দুই বন্ধুও।
বায়েজীদ বলেন, ওই দলটির কেউই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নয়। তাই তাদের কাউকেই চিহ্নিত করতে পারেননি তারা। কিন্তু একজনকে আটকে রাখা হয়েছিল। সাম্যর অবস্থার অবনতি হচ্ছে দেখে তারা তাকে সেখানে উপস্থিত লোকদের হাতে তুলে দিয়ে সাম্যকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে তাকেও ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।