যুগান্তরের শেষের পাতার খবরের শিরোনাম 'ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারীরা গোপনে জামিন নিয়ে পলাতক!'
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় করা ১৪৫টি মামলার তদন্ত ১৪ মাসেও শেষ হয়নি। মামলা প্রায় ১০ হাজার, গ্রেপ্তার হয়েছে মাত্র ৬৫৮ জন। আইনজ্ঞদের মতে, তদন্তের ধীরগতি ন্যায়বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, আর এতে অনেক আসামি গোপনে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাচ্ছেন।
এসএমপি ও জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নগরে ১০৪টি এবং জেলায় ৪১টি মামলা হয়েছে; একাধিক হত্যা মামলাসহ প্রায় সবগুলোর তদন্তই মন্থর। গোলাপগঞ্জে সবচেয়ে বেশি হতাহত ও মামলা হলেও অগ্রগতি সীমিত। শহীদ পরিবারের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
এদিকে বিভিন্ন মামলার আসামি মো. কাওসার হোসেন এনসিপির সিলেট জেলা কমিটির সদস্য হয়েছেন। অভিযোগ সম্পর্কে এনসিপি বলছে, যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রুত জামিন পাওয়া শ্রমিকনেতা জাকারিয়া আহমদকে ঘিরেও স্থানীয় মহলে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের দাবি—গ্রেপ্তার ও তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান, তবে ধীরগতির স্পষ্ট কারণ তারা জানায়নি।
আজকের পত্রিকার প্রধান খবরের শিরোনাম ‘সেঞ্চুরি দিয়েই সেঞ্চুরি টেস্ট রাঙালেন মুশফিক’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিরপুরে নিজের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে টেস্ট ইতিহাসের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে বিরল কীর্তি গড়েছেন মুশফিকুর রহিম। ৯৯ থেকে ১০০–তে পৌঁছে উদ্যাপনে ভাসেন তিনি। ১০৬ রানে আউট হলেও এটি তার ১৩তম সেঞ্চুরি, মুমিনুলের সঙ্গে এখন তিনি বাংলাদেশের যৌথ সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান।
একই দিনে লিটন দাসও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন। মুশফিক, লিটন ও মুমিনুল-মিরাজের জুটিতে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তোলে ৪৭৬ রান। ম্যাকব্রাইন নেন ৬ উইকেট। জবাবে আয়ারল্যান্ড ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনের শঙ্কায় তৃতীয় দিন শুরু করবে।
‘ফিরল তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা’— এটি দেশ রূপান্তরের প্রধান প্রতিবেদনের শিরোনাম।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনরায় বৈধ হলো সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সর্বসম্মত রায়ের মাধ্যমে। আদালত ২০১১ সালে দেওয়া ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়কে “ত্রুটিপূর্ণ ও কলঙ্কিত” আখ্যা দিয়ে সম্পূর্ণ বাতিল ঘোষণা করে। এর ফলে সংবিধানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত অধ্যায় পুনরুজ্জীবিত হয়েছে এবং এটি কার্যকর হবে পরবর্তী জাতীয় সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর নির্বাচনের সময়।
মোট ১০ কার্যদিবসের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ ও রিটকারীদের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন করেন। আদালত জানান, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের আগের রায়ে সংবিধানের ব্যাখ্যায় ভুল ছিল এবং তা দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
রাষ্ট্রপক্ষ রায়কে গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখছে; তাদের মতে, এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা বাড়াবে। রিটকারী আইনজীবীরাও রায়কে জনগণের দাবির প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে গণভোট ও সাংবিধানিক সংস্কার পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাঠামো পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে।
এই রায়ের ফলে বহু বছর ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান তত্ত্বাবধায়ক বিতর্ক ও অবিশ্বাসের অবসান ঘটলো এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার সাংবিধানিক ভিত্তি তৈরি হলো।
প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর— ‘এলোমেলো শিক্ষা খাত’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) চেয়ারম্যানসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ একসঙ্গে শূন্য হয়ে পড়ায় বই ছাপানো মৌসুমে সংস্থাটি কার্যত নেতৃত্বহীন হয়ে পড়েছে। অবসর-উত্তর ছুটিতে যাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রবিউল কবীর চৌধুরীর দায়িত্বও শূন্য হয়। প্রথা ভেঙে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিবকে অস্থায়ীভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হলেও নতুন বছরের শুরুতে সময়মতো পাঠ্যবই বিতরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরেও মাসখানেক ধরে মহাপরিচালক নেই, ফলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতি দেখা দিচ্ছে। একই সময়ে শিক্ষক বেতন-গ্রেড, এমপিওভুক্তি, অবসরসুবিধা, ক্যাডার পদোন্নতিসহ নানা দাবিতে বহু সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক আন্দোলনে নেমেছেন। এতে শিক্ষাবর্ষের শেষ প্রান্তে পাঠদান ব্যাহত হয়েছে।
ঢাকার সাত সরকারি কলেজকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আনার সিদ্ধান্তও জটিলতা তৈরি করেছে। কাঠামো চূড়ান্ত না হওয়ায় শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন এবং ক্লাস বন্ধ রয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে পুরোনো শিক্ষাক্রম ফিরিয়ে আনা হয়েছে; কিন্তু বিকল্প পরিকল্পনা না থাকায় বিশেষজ্ঞরা দিকনির্দেশনার অভাব দেখছেন। এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাত্র একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষা খাতে শূন্যপদ পূরণ, পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা এবং বেতন-সুবিধা সংশোধন এখন জরুরি।
মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর— ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল/ শিগগিরই নিষ্পত্তি হবে আরও চার মামলা’
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও দুই জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বর্তমানে ট্রাইব্যুনাল-১ ও ট্রাইব্যুনাল-২–এ আরও চারটি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে। প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। একই সময়ে চলমান চার মামলার সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক ডিসেম্বরেই শেষ করে জানুয়ারিতে রায় ঘোষণা সম্ভব।
রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩০ আসামির মধ্যে ৬ জন গ্রেপ্তার। ১৯তম সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে, ২৩ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য। ডিসেম্বরেই যুক্তিতর্ক শেষ করার আশা প্রসিকিউশনের।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয় খুনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য চলছে। আসামিপক্ষ জানিয়েছে, আইও–র সাক্ষ্যের পর তারা সাফাই সাক্ষী উপস্থাপন করবে। মামলায় মোট ২৪ জনের সাক্ষ্য শেষ; ৮ আসামির ৪ জন পলাতক।
আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা করে লাশ পোড়ানোর মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে রাজসাক্ষী এসআই আবজালুল হকের জবানবন্দি রেকর্ড হয়েছে। শিগগিরই যুক্তিতর্ক শুরু হবে।
রামপুরায় যুবক আমির হোসেনকে গুলি করা এবং শিশু বাসিত ও আরেকজনকে হত্যার মামলায় সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৫ জন আসামি। এএসআই চঞ্চল গ্রেপ্তার। ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ, আরও সাক্ষ্যের পর যুক্তিতর্ক ও রায় হবে।
‘অপরাধ নজরে আসতেই লাগে ১৫ দিন, প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনী আইন-শৃঙ্খলায়’— বণিকবার্তার শেষের পাতার খবরের শিরেণাম এটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ থানায় নথিভুক্ত মামলার এজাহার ও জিডির তথ্য নিয়মিতভাবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দিচ্ছে না—ফলে জেলা প্রশাসন সাত থেকে ১৫ দিন দেরিতে অপরাধের খবর পাচ্ছে। এতে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির কাজ ব্যাহত হচ্ছে এবং সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার মতো ঘটনাও দ্রুত নজরে আসছে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কয়েকবার তাগাদা দিলেও পুলিশের সাড়া মেলেনি। নিয়ম অনুযায়ী সার্কেল এএসপিকে প্রতিদিন বিপি ফরম–১৬ পূরণ করে তথ্য পাঠানোর কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান ডিসির কাছে হালনাগাদ তথ্য না থাকলে নাগরিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে এবং অপরাধ দমনে সমন্বয় বাধাগ্রস্ত হয়। অনেক জেলায় ডিসি-এসপির মধ্যে নীরব দ্বন্দ্ব সমন্বয়ের ঘাটতি বাড়াচ্ছে, যা নির্বাচনের সময়ও প্রভাব ফেলতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, থানার দৈনিক তথ্য না পেলে ঘটনাস্থলের সমস্যা বোঝা যায় না এবং অপরাধীরা পালিয়ে যেতে পারে।
কিছু জেলা প্রশাসক জানান, অতীতে পুলিশ বৈঠকে ডিসিদের যুক্ত করতে অনীহা দেখিয়েছে; উভয় পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তবে সিলেটের জেলা প্রশাসক জানান, আনুষ্ঠানিক তথ্য দেরিতে এলেও মৌখিক সমন্বয় থাকে। পুলিশের একাংশ মনে করে, ডিসিকে প্রতিদিন তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই; মাসিক বৈঠকের সারাংশই যথেষ্ট। পুলিশ সদর দপ্তর আবার বলছে, আইন অনুযায়ী সব তথ্যই সরবরাহ করা হয়।
]]>
১৪ ঘন্টা আগে
১







Bengali (BD) ·
English (US) ·