মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামের হাওলাদার মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন, আলো বেগম (৪০), তার মেয়ে আখি (২০), প্রতিবেশী আব্বাস হাওলাদার (৫০) ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪১)। আহত আলো বেগমকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত আলো বেগমের মেয়ে আখি চৌধুরী জানান, সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে তাদের একটি ছাগল প্রতিবেশী আব্বাস হাওলাদারের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ছাগলটিকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। ছাগলটি আহত হওয়ায় পরদিন রাতে সেটি ফেরত নিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্বাস, তার স্ত্রী ও ছেলে সজীব মিলে আলো বেগমকে মারধর করেন। মাকে রক্ষা করতে গেলে আখিও মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে লবণ পানি থেকে জমি রক্ষার দাবি কৃষকদের
অন্যদিকে, আব্বাস হাওলাদার দাবি করেন, আলো বেগম ও তার মেয়ে ছাগল আনতে গিয়ে অশালীন ভাষায় কথা বলা শুরু করেন। তার স্ত্রী ফাতেমা প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয়। তাকে রক্ষা করতে গেলে আব্বাসও আক্রান্ত হন বলে জানান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, রাতের দিকে বাজার থেকে ফেরার সময় রাস্তার পাশে মারামারির ঘটনা দেখতে পান। তিনি আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে আবারও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতাকে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে মারধর
এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
]]>