পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
আর অবশ্যই আমি আদম-সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি; স্থলে ও সাগরে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি; এবং তাদেরকে উত্তম রিজিক দান করেছি এবং আমি যাদেরকে সৃষ্টি করেছি তাদের অনেকের ওপর তাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। (সুরা ইসরা ৭০)
আরও পড়ুন: বর্ষপূর্তি পালন নিয়ে যা বললেন বায়তুল মোকাররমের খতিব
মানব দেহের মাঝে তার চেহারাকে বানিয়েছেন সুন্দর ও মর্যাদাবান। মানুষের রুপ-সৌন্দর্য প্রকাশস্থল হলো তার চেহারা। সুতরাং চেহারায় কোনো ধরনের আঘাত করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
রসুলুল্লাহু সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যদি তোমাদের মাঝে কেউ কোনো লোককে (শিক্ষা বা শাস্তি দেয়ার জন্য) প্রহার করে; তবে যেন চেহারায় আঘাত না করে। কেননা মহান আল্লাহ আদম (আ.) কে তার আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন।(বুখারি ও মুসলিম)
ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, সব ধরনের শাস্তি উক্ত নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত ৷ (ফাতহুল বারী: ৫/১৮৩)
আরও পড়ুন: তাবলিগের সমাধান নিয়ে যা বললেন বায়তুল মোকাররমের খতিব
উপরোক্ত হাদিস থেকে বোঝা যায়, চেহারায় আঘাত করা নিষেধ। তবে অন্য স্থানে মারার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু এটা নির্দেশ নয়। সুতরাং, ছেলে সন্তান ও ছাত্রদের আদব-শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়ার জন্য যদি শাসনের প্রয়োজন হয়; তবে চেহারা ছাড়া অন্যস্থানে মারার অনুমতি রয়েছে।এক্ষেত্রে যেন সীমালঙ্ঘন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
]]>