চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী নেতা মেহেদী হাসানের ওপর হামলা

২ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান খান বাবু (২৬)।

মেহেদী হাসান খান বাবু বর্তমানে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নব-নির্বাচিত সভাপতি। তিনি জীবননগর উপজেলার সুজায়েতপুর গ্রামের আবু মুসা খানের ছেলে। 


ঘটনার পর তিনি জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ আরও যারা রিমান্ডে

লাঞ্ছিতের শিকার মেহেদী হাসান খান বাবু বলেন, ‘বুধবার সকাল ১১ টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মীমাংসা জন্য তিনি, তার বাবা আবু মুসা খান সাহপুর পুলিশ ক্যাম্পে যান। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মীমাংসার এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের পক্ষ নেওয়া গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন বিএনপির কর্মী আমার ওপর চড়াও হয় এবং শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা আমাকে ক্যাম্পের একটি কক্ষে নিয়ে হেফাজত করে। বিষয়টি আমি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার, জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করেছি।’ 


তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি জীবননগর থানায় আজকেই মামলা করব। মামলার পর আসামিদের সনাক্ত করে আজকের ভেতরে তাদের গ্রেফতার চাই।’

আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতার নামে মামলা প্রত্যাহার না হলে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘সমন্বয়ক মেহেদী হাসান খান বাবুর সঙ্গে একটা জমি নিয়ে আপন খালার দীর্ঘ দিন বিরোধ চলে আসছে। জমির বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান। বিষয়টি মীমাংসার জন্য একপক্ষ শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পে একটি আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শাহপুর পুলিশ ক্যাম্প দুপক্ষকেই ডেকেছিল। আলোচনার এক পর্যায়ে পুলিশের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে বলা হয়, যেহেতু এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এ কারণে আপনারা আদালতের মাধ্যমেই বিষয়টি সমাধান করে নেন। তারা চলে যাওয়ার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে এক পক্ষ সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান খান বাবুর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন