চুক্তি চাইলে ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ‘বাতিল’ করতে হবে: উইটকফ

১ সপ্তাহে আগে
ওয়াশিংটনের সাথে চুক্তি করতে চাইলে তেহরানকে অবশ্যই তার পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি ‘বাতিল’ করতে হবে। এমনটা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। আগামী শনিবার মাস্কাটে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরুর আগে এমন দাবি জানাল যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। 
 

উইটকফের এই মন্তব্য তার আগের দিন করা মন্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক। কারণ উইটকফ আগের দিন বলেছিলেন, ইরান শক্তি উৎপাদনের জন্য যদি খুব কম পরিমানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে তাহলে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি থাকবে না।

 

আরও পড়ুন:পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে দ্বিতীয় দফা আলোচনা কোথায়, জানাল তেহরান


অথচ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে উইটকফ বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য যেকোনো চূড়ান্ত ব্যবস্থার মধ্যে একটি কাঠামো তৈরি করতে হবে। যার অর্থ ইরানকে তার পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ এবং অস্ত্রায়ন কর্মসূচি সম্পূর্ণ ‘বাতিল’ করতে হবে।


‘বিশ্বের জন্য এটা অপরিহার্য যে আমরা একটি কঠিন, ন্যায্য চুক্তি করি যা টেকসই হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে এটাই করতে বলেছেন।’ উইটকফ জানান।


উইটকফের মতো একই কথা বলেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাতিল চায় বলে জানায় স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

 

এর আগে গত শনিবার ওমানে একটি পারমাণবিক চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রথম দফার আলোচনায় বসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান।

 

এতে ইরানের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ নেতৃত্ব দেন।  এ বিষয়ে তেহরান জানায়, প্রথম দফার আলোচনা ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে একটি গঠনমূলক পরিবেশে হয়েছে।

 

আরও পড়ুন:মার্কিন-ইসরাইলি জিম্মির সাথে ‘যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন’ হয়ে গেছে, দাবি হামাসের


ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানকে হুমকি দিয়েছেন, যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সামরিক হামলা এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

 

এর আগে ২০১৫ সালে ইরানের সাথে বিশ্বশক্তিগুলোর একটি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন