চীনের সঙ্গে কাজ করার ‘ঝুঁকি’ বাংলাদেশকে স্পষ্ট করব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

৩ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হলে তিনি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন এবং চীন ও এর সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করার ‘ঝুঁকি’র ব্যাপারে বোঝাবেন।

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। গত সেপ্টেম্বরে হোয়াইট হাউজ এই তথ্য জানায়। হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনের নাম মনোনয়ন দিয়ে তা অনুমোদনের জন্য মার্কিন সিনেটে পাঠানো হয়েছে।

 

গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সামনে শুনানিতে অংশ নেন ক্রিস্টেনসেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশি সাবমেরিন ঘাঁটির সংস্কারে চীনের সম্পৃক্ততা এবং ঢাকার ২০টি চীনা জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে ঢাকার নতুন রাষ্ট্রদূত মনোনয়ন দিলেন ট্রাম্প

 

ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে চীনা প্রভাব সম্পর্কে আপনাদের উদ্বেগের সাথে আমিও একমত। আমার নিয়োগ নিশ্চিত হলে আমি বাংলাদেশ সরকার এবং এর সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করব যাতে সামুদ্রিক ক্ষেত্রে এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে চীনা কার্যকলাপ এবং তাদের সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত থাকার ঝুঁকিগুলোর ব্যাপারে স্পষ্ট করা যায় এবং সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরা যায়, বিশেষ করে আমাদের (দুই দেশের) সামরিক বাহিনীর মধ্যে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত পার করছে। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা একটি সরকারের পতন হয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশের জনগণ নতুন সরকার ও নতুন পথ বেছে নিতে নির্বাচন আয়োজন করবে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রায় সমর্থন করে।’ 

 

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে আগে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন