এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী।
চিন ব্রাদারহুডের মুখপাত্র ইয়াও ম্যাং ইরাবতীকে জানান, সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চল জান্তার কবল থেকে মুক্ত করেছে। এখন বিদ্রোহীরা উত্তরাঞ্চলের ফালাম শহরে জান্তার সবশেষ অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, রাজধানী হাক্কা, ফালাম, তেদিম ও থানটালাং শহরে জান্তার চলাচল সীমিত হয়ে গেছে। এর বাইরে পালেতাওয়া, মাতুপি, কানপেটলেট, মিনদাত মুক্ত হয়েছে। কানপেটলেট ও মিনদাত থেকে গত রোববার সকালে ১৩ রাজবন্দিকে মুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাখাইনে জান্তার গুরুত্বপূর্ণ সেনা সদর দফতর দখল আরাকান আর্মির
জান্তাবিরোধী চিন ব্রাদারহুড নামের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীতে ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স, স্যাগাইন অঞ্চলের গ্যাংগাও জেলার ইয়াও আর্মি ও মনিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সদস্যরা রয়েছেন। এই গোষ্ঠীগুলো একযোগে চারমাস আগে থেকে জান্তার বিরুদ্ধে মিনদাত, ফালাম ও কানপেটলেট মুক্ত করার অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করে। ‘অপারেশন সিবি’ নাম দিয়ে তারা ৯ নভেম্বর থেকে অভিযান শুরু করে।
চিন ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে এর আগে শুক্রবার জানানো হয়, তাদের আক্রমণের মুখে ১৬৮ জান্তা সেনা ও পুলিশ তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এ নিয়ে ব্যাপক অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৩০০ জান্তা তাদের হাতে বন্দি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মংডুর পতন /জান্তার জেনারেলসহ শত শত সেনাকে আটক করলো আরাকান আর্মি
চিন ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাখাইনের আরাকান আর্মি অস্ত্র, গোলাবারুদ, রসদ ও পরামর্শ দিয়ে তাদের সহযোগিতা করেছে।
এদিকে গত শুক্রবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আঞ্চলিক সেনা সদর দফতর দখলে নেয়ার দাবি করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এর মধ্যদিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে দ্বিতীয় কোনো আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ হারায় ক্ষমতাসীন জান্তা।
]]>