চিকিৎসক নেই দেশসেরা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে!

৪ দিন আগে
এক সময়ের দেশসেরা গাইবান্ধার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি বর্তমানে চিকিৎসক শূন্য রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা প্রসূতি ও শিশুরা।

গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে চিকিৎসক না থাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছে এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির চিকিৎসা সেবা। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রসূতিদের ডেলিভারি করাচ্ছেন পরিবার পরিকল্পনার পরিদর্শিকারা। এতে এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনসহ অন্যান্য সেবা বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।


জানা যায়, বিনামূল্যে প্রসূতি ও শিশুদের চিকিৎসা, নরমাল ডেলিভারি ও সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল সদরের গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। সর্বোচ্চ প্রসূতি সেবায় ভূমিকা রাখায় দেশসেরা হয়ে একাধিকবার জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি।


জেলার ৭ উপজেলার চরাঞ্চলসহ নিম্ন আয়ের মানুষ প্রতিদিন প্রসূতি সেবার জন্য মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আসলেও ফিরতে হচ্ছে হতাশা নিয়ে। চিকিৎসক না থাকায় একেবারে নরমাল ডেলিভারি ছাড়া বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনসহ অন্যান্য কার্যক্রম। দীর্ঘ দিনেও চিকিৎসক না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা কেন্দ্রে আসা জেলার নিম্ন আয়ের শত শত গর্ভবতী নারী, শিশু ও তাদের স্বজনরা। চিকিৎসক না থাকায় বাধ্য হয়ে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে তাদের।


আরও পড়ুন: যশোরে সরকারি হাসপাতালে নেই জলাতঙ্কের টিকা

 

চিকিৎসা নিতে আসা সদরের মালিবাড়ি গ্রামের রোকেয়া বেগম জানান, চিকিৎসক না থাকায় টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না, এসে ঘুরে যেতে হচ্ছে। এলাকার অনেক গরিব মানুষ টাকার অভাবে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারছেন না।


গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চের সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু জানান, গরিব মানুষের ভরসার এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এখন হাতাশার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েক লক্ষাধিক মানুষের কথা চিন্তা করে দ্রুত এখানে চিকিৎসক নিয়োগ প্রয়োজন।


বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। জটিল প্রসূতি মায়েদের নিরাপদ চিকিৎসা সেবা ও সিজারিয়ান অপারেশন নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক প্রয়োজন বলে জানান, দায়িত্বরতরা। এ ছাড়াও অন্যান্য জনবলও রয়েছে অর্ধেকের কম। বরাদ্দ না আসায় প্রায় ৬ মাসের অধিক সময় থেকে বন্ধ ওষুধ সরবরাহ।


আরও পড়ুন: শিশু হাসপাতালে নেই এমআরআই ও সিটিস্ক্যান মেশিন


জনগণের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে গাইবান্ধা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত দায়িত্বের চিকিৎসক দিয়ে জরুরি ক্ষেত্রে সেবা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। চিকিৎসক নিয়োগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।


গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ৪ শতাধিক নরমাল ডেলিভারি ও শতাধিক সিজারিয়ান অপারেশন হয়ে আসছিল। গত ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে চিকিৎসক শূন্য মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন