শুক্রবার (২৮ মার্চ) কেরানীগঞ্জের আগানগর, জিনজিরা ও কালীগঞ্জ বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বছরের ব্যবধানে কিছুটা দাম বেড়েছে সেমাই, পোলাও চাল, ঘি ও মুগডালের পাশাপাশি দুধ-কিশমিশের। ক্রেতারা বলছেন, ঈদের কেনাকাটায় প্রধান পণ্য সেমাই-চিনি। হাতেগোনা দুই-একটি পণ্যের দাম বাড়লেও স্বাভাবিক আছে বেশিরভাগের দাম। নাবিল নামে এক ক্রেতা বলেন, এখনও তেমন একটা বাড়েনি ঈদপণ্যের দাম। তবে মসলার দাম আকাশছোঁয়া।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ২০০ গ্রামের প্রতিপ্যাকেট চিকন সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। পাশাপাশি খোলা লাচ্ছা সেমাই ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ও চিকন সেমাই কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। এছাড়া ২০০ গ্রামের ঘি ২৮০ টাকা ও প্রতি লিটার তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

চিনা বাদাম ২০০ টাকা, কিশমিশ মানভেদে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা ও কাজু বাদাম ১২০০-১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিনি ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, দাম বেড়েছে মসলার। বাজারে প্রকারভেদে প্রতিকেজি এলাচ ৩২০০ থেকে ৫৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা, জিরা ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গোলমরিচ ৭০০ টাকা, দারুচিনি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, আলুবোখারা ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, হলুদের গুঁড়া ৪০০ টাকা, কালোজিরা ৩৫০ টাকা ও তেজপাতা ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাড়তি দরের তালিকায় আছে পোলাও চালও। কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতারা প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্য কিনছেন।
আরও পড়ুন: হঠাৎ এলাচের বাজারে অস্থিরতা কেন?
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাপ বেড়েছে, তবে বেচাকেনা খুব আহামরি একটা নেই। দামও সে রকম বাড়েনি। কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজারের মুদি দোকানি ইউসুফ জানান, ঈদে ছোট-বড় সবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে সেমাই। অতিথি আপ্যায়নে ঈদ উৎসবে সেমাই ছাড়া চলেই না। ঈদ উপলক্ষে তাই চাপ বেড়েছে সেমাই-চিনিসহ ঈদপণ্যে। এতে খানিকটা দাম বেড়েছে। তবে সেটি সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মুদি দোকানি রাকিব মিয়া বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বেড়েছে মসলা, চিনি, পোলাও চাল, ঘি ও সেমাই বিক্রি। চাঁদরাতে এসব পণ্যের চাপ আরও বাড়বে। ঈদপণ্যের দাম খুব সামান্যই বেড়েছে। তবে মসলার দাম চড়া। বিশেষ করে এলাচের।
]]>