চাকসু নির্বাচন: ফয়জুন্নেসা হল ও খালেদা জিয়া হলের ফলাফল ঘোষণা

১ সপ্তাহে আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে নবাব ফয়জুন্নেসা হল ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ফল ঘোষণা করা হয়েছে।

এই দুই হলের মধ্যে নবাব ফয়জুন্নেসা হলে এগিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলে ভিপিপ্রার্থী সাজ্জাদ হৃদয়। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলে এগিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন রনি।


ফলাফলে দেখা গেছে, নবাব ফয়জুন্নেসা হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী সাজ্জাদ হৃদয় পেয়েছেন ২৯১ ভোট। আর ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন রনি পেয়েছেন ২১২ ভোটা। আর জিএস পদে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব। তিনি পেয়েছেন ২৬৪ ভোট। আর ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী শাফায়েত হোসেন পেয়েছেন ১১৭ ভোট এবং বৈচিত্র্য ঐক্যের সুদর্শন চাকমা পেয়েছেন ১৩৩ ভোট।


এজিএস পদেও এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আইয়ুবর রহমান তৌফিক। তিনি পেয়েছেন ৩৪৪ ভোট। আর ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ১৩১ ভোট।


অন্যদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলে ভিপি পদে ইব্রাহীম হোসেন রনি এগিয়ে রয়েছেন। তিনি ৬২২ ভোট পেয়েছেন। আর ছাত্রদলের সাজ্জাদ হৃদয় ৩০৩ ভোট পেয়েছেন। জিএস ছাত্রশিবিরের সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৬৮১ এবং ছাত্রদলের শাফায়েত হোসেন পেয়েছেন ১৪৬ ভোট। আর এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৩৭৬ ভোট এবং ছাত্রদলের ইয়ুবর রহমান তৌফিক পেয়েছেন ৫৩৬ ভোট।


আরও পড়ুন: চাকসু নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার


এর আগে নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক কেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানিয়েছেন, চাকসু নির্বাচনে মোট ভোটের প্রায় ৭০ শতাংশ পড়েছে।


বুধবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এবারের নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে ওএমআর পদ্ধতি। ভোট গণনার ফলাফল সরাসরি দেখানো হচ্ছে এলইডি স্ক্রিনে। এ জন্য স্থাপন করা হয়েছে ১৪টি এলইডি স্ক্রিন।


উল্লেখ্য, চলমান এই নির্বাচনে চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও ৪৯৩ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন