রোববার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাতে রাজধানীর নিউমার্কেট, গুলিস্তান, জাতীয় স্টেডিয়াম ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকা সংলগ্ন ফুটপাতের দোকানগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। শেষ মুহূর্তে তাই জমে উঠেছে ফুটপাতের দোকানগুলো। শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি-পায়াজামা, জুতাসহ অন্যান্য জিনিস বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন: চাঁদরাতে টুপি-জায়নামাজ ও আতর কিনতে মুসল্লিদের ভিড়
‘একদাম ৫০০, বাইচ্ছা লন ৫০০’ এভাবেই হাঁকডাকে রাজধানীর জাতীয় স্টেডিয়াম ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকা সংলগ্ন ফুটপাতে পাঞ্জাবি বিক্রি করছেন মহসিন। তিনি বলেন, চাঁদরাতে ক্রেতার চাপ বাড়ে। যে পর্যন্ত ক্রেতা থাকবে, বেচাকেনা চলবে।

আরেক বিক্রেতা নাসির বলেন, চাঁদরাতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় স্বভাবতই বাড়ে। এখানে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত, নিম্ন উচ্চবিত্ত সবাই আসেন। শেষ সময়ে কম দামে জামাকাপড় পাওয়া যায় দেখে এখানে ভিড় বাড়ে।
গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন ফুটপাতগুলো ঘুরে দেখা যায়, কম দামে শার্ট-প্যান্ট, জামা-জুতা, বেল্টসহ নানা ধরনের পণ্য সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, ক্রেতা থাকলে, সারারাত বেচাকেনা করব। শেষ সময়ে পণ্য আটকে না রেখে কম দামেই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, শপিংয়ে আসল মজাই হলো চাঁদরাতে। শেষ সময়ে কম দামে অনেক জিনিস কেনা যায়। আলামিন নামে এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, ভেবেছিলাম রাতে ভিড় কম হবে। তাই গুলিস্তানে এসেছিলাম কেনাকেনা করতে। তবে প্রচন্ড ভিড়ে কেনাকাটা করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতেও বেচাকেনা জমজমাট, ভিড় বাড়ছে ফুটপাতে

ইকবাল নামে আরেক ক্রেতা জানান, গুলিস্তানে এমনিতেই ফুটপাতে অনেক রাত পর্যন্ত বেচাকেনা হয়। তবে চাঁদরাতে সেটি যেন আরও বেড়েছে। ঈদ উপলক্ষে জামা-জুতা ও প্যান্ট কিনেছি। বেল্ট দেখছি। দাম পছন্দ হলে কিনে নেব।

ফুটপাতে শুধু নিম্নবিত্তরাই নন, দেখা মিলছে মধ্যবিত্তদেরও। নাবিল নামে এক ক্রেতা জানান, ফুটপাতে কম দামে অনেক ভালো ভালো জিনিস পাওয়া যায়। এখান থেকে সব শ্রেণির মানুষই কেনাকাটা করে। আর চাঁদরাতে তো ব্যবসায়ীরা কম দামেই পণ্য ছেড়ে দেন। তাই কেনাকাটা করেও মজা পাওয়া যায়।
]]>