চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে ঈদ রোববার

৩ সপ্তাহ আগে
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে রোববার (৩০ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।

এই জন্য জেলার হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরীফ, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর ও শাহরাস্তি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সকাল ৯টায় সাদ্রা দরবার শরীফে এবং পাশে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


এরমধ্যে সাদ্রা দরবার শরীফে ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন, মাওলানা আবু ইয়াহিয়া মোহাম্মদ মাদানি।


অন্যদিকে, সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে ঈদের অপর জামাতে ইমামতি করবেন পীরজাদা মাওলানা আরিফ চৌধুরী। এ ছাড়া ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরামুন্সিরহাট, বদরপুর, ওড়পুর, উভারামপুর, সাচনমেঘ, ঘড়িহানা, গোবিন্দপুরসহ মতলব উত্তর এবং শাহরাস্তি উপজেলায় আরও প্রায় ৩০টি আলাদা ঈদের জামাত হওয়ার কথা রয়েছে।


আরও পড়ুন: ঈদের দিনের বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে যে বার্তা দিলো আবহাওয়া দফতর


এর আগে গত পহেলা মার্চ থেকে চাঁদপুরের এমন অর্ধশত গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ রোজা রাখা শুরু করেন; যা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল ছিল।


এই মতের অনুসারী ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সিরহাটের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন মামুন মুন্সি জানান, শুধু রোজা কিংবা ঈদুল ফিতরই নয়, ঈদুল আজহাও এমন নিয়ম মেনে উদযাপন করছেন তারা।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) চন্দ্র মাস হিসেব করে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে এই দেশে রোজা পালন ও দুটি ঈদ উদযাপন প্রচলন করেন। তার সেই নিয়ম বজায় রেখে অনুসারীরা একইভাবে এখনো প্রথা চালু রেখেছেন।


আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ১০ গ্রামে রোববার ঈদ


এসব গ্রামের বাসিন্দারা শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় এবং ভোররাতে সেহেরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে রমজান মাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন।


অন্যদিকে, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, আগাম ঈদ উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।


জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন জানান, জেলায় এভাবে আগাম ঈদ আয়োজনের বিষয় প্রশাসন নজর রেখেছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন