বুধবার (২৭ নভেম্বর) ৩ দিনব্যাপী চরমোনাইয়ের শতবার্ষিকী অগ্রহায়ণ মাহফিলের উদ্বোধনী বয়ানে এসব কথা বলেন তিনি। জোহর নামাজের পর চরমোনাই মাদ্রাসার মূল মাঠ ও তিন নম্বর মাঠ নিয়ে দুটি মাঠে এ মাহফিল আয়োজন করা হয়।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘যারা চরমোনাইতে নতুন এসেছেন, তারা দুনিয়ার ধ্যান-খেয়াল বিদায় করে দিয়ে আখেরাতের খেয়াল-ধ্যান অন্তরে জায়গা দেন। দিল থেকে বড়ত্ব এবং আমিত্ব ভাব বের করে দিয়ে আল্লাহর কুদরতি পায়ে নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে। সদাসর্বদা আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে দিলকে তরতাজা রেখে আল্লাহর অলি হয়ে চরমোনাই থেকে বিদায় নেয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারত বাংলাদেশকে নিয়ে নীলনকশা করেছে: চরমোনাই পীর
চরমোনাই পীর তার উদ্বোধনী বয়ান শেষে মাহফিলের নিয়মকানুন সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে মাহফিলে আগত মুসল্লীদের সহস্রাধিক হালকায় বিভক্ত করে হাতে-কলমে সালাত ও ইসলামের বুনিয়াদি বিষয়ে বাস্তব প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
মাহফিলে আগত মুসল্লীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এতে ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে আরও ৪০ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে চিকিৎসা সেবা পরিচালিত হচ্ছে।
ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স মাহফিল হাসপাতালের কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীকে তাৎক্ষণিক মাহফিল হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য নিযুক্ত রয়েছে বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
দুটি মাঠে মাহফিলের শৃঙ্খলা রক্ষায় নিযুক্ত করা হয়েছে বিশাল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর স্পেশাল টিম।
সারাদেশ থেকে আগত মুসল্লিদের খাবারের জন্য উভয় মাঠের চারিদিকে সুপেয় নিরাপদ পানির ব্যবস্থাসহ রয়েছে সহস্রাধিক মানসম্মত টয়লেট, ওজু এবং গোসলের ব্যবস্থাপনা।
আরও পড়ুন: তিন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে দূরে রাখতে চান চরমোনাই পীর
তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলের প্রথমদিন বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিন সারাদেশ থেকে আগত ওলামায়ে কিরামদের নিয়ে ওলামা সম্মেলন ও শেষদিন সকালে সারাদেশ থেকে আগত ছাত্র-জনতাকে নিয়ে ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও মাহফিলে আগত যুবক, শ্রমিকদের নিয়ে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজন করে বিশেষ মতবিনিময় সভা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় হজরত পীর সাহেব চরমোনাইয়ের আখেরি বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।
]]>