বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, কিছু শিক্ষার্থীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ দুটি হলের ভোট আবার গণনা সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে কেন্দ্রীয় সংসদের ফল নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় ওই দুটি হলের এজেন্টদের উপস্থিতিতে ব্যালটগুলো পুনর্গণনা করা হবে।
এর আগে বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত পৌনে ১টায় সোহরাওয়ার্দী হলের হল সংসদের ফলাফল পুনর্গণনার দাবিতে বিক্ষোভ করে ছাত্রদল। ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ তুলে এদিন রাতে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে তারা। এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রোভিসি) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীনকে অবরুদ্ধ করা হয়। পরে আড়ই ঘণ্টা পর রাত সোয়া ৩টায় তিনি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চাকসু, হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এবারের নির্বাচনে ১৩টি প্যানেলের মোট ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২৩২টি পদে।
আরও পড়ুন: চাকসু নির্বাচন: ২৬ পদের মধ্যে ২৪টিতেই শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়
কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৫ জন, আর ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৯৩ জন প্রার্থী। নারী প্রার্থী ছিলেন ৪৭ জন।
ভোটারদের ভোট দিতে হয়েছে সর্বমোট ৪০টি পদের জন্য। যার মধ্যে ২৬টি কেন্দ্রীয় এবং ১৪টি হল সংসদের পদ।
ভোটগ্রহণ হয়েছে ব্যালট পেপারে, এবং গণনা করা হয়েছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল ঘোষণা করা হয় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে, আর হল সংসদের ফলাফল সরাসরি ভোটকেন্দ্রেই প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় সভাপতিদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভোটার তালিকায় ছবি সংযুক্ত করা হয়েছিল।
ভোটের দিনে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে শাটল ট্রেন ১১ বার করে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করে। পাশাপাশি ১৫টি বাসও চলাচল করে।

১ সপ্তাহে আগে
৪







Bengali (BD) ·
English (US) ·