বুধবার (২৭ আগস্ট) রেল ভবনে দুটি মসজিদ ও একটি মন্দিরের জন্য রেলওয়ে জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসস।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি পুরনো তীর্থস্থান। সেখানে মসজিদ নির্মাণ অথবা কালেমা খচিত পতাকা স্থাপনের কোনো চিন্তাভাবনা সরকারের নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কাল্পনিক ঘটনা শুনে কেউ যদি এ বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে সরকার তা কঠোর হাতে দমন করবে।
চন্দ্রনাথ মন্দিরে এরইমধ্যেই পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মন্দিরের পুরনো সেই সংস্কার করে নতুনভাবে উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বলে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চন্দ্রনাথ পাহাড়ে মসজিদ নির্মাণের প্রশ্নই ওঠে না: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, রাজধানীর খিলক্ষেতে একটি মন্দির ও দু’টি মসজিদে জমি বরাদ্দ দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল এটা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, একই স্থানে মসজিদ ও মন্দিরের জন্য জমি প্রদানের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশ একটি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে সবাই নিজ-নিজ ধর্মের অনুশাসন পালন করবে। কেউ কারো জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
ধর্ম উপদেষ্টা এর আগে, রেলভবনে রাজধানীর জোয়ার সাহারা মৌজায় দু’টি মসজিদ ও একটি মন্দিরের জন্য জমি বরাদ্দ প্রদানের দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।