রোববার (৩০ মার্চ) সকালে বহদ্দারহাট বাড়াইপাড়া খাল ও আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় ড্রেনেজ সিস্টেম পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেছেন
উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে আমরা একযোগে কাজ করছি, কিন্তু জনগণের সচেতনতা না থাকলে এর সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। তিনি খালগুলোতে ময়লা ফেলা এবং আবর্জনা জমে যাওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ, সেনাবাহিনী এবং জেলা প্রশাসন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তবে, যদি জনগণ নিজেই খালে ময়লা ফেলে, তাহলে সেই উদ্যোগের সুফল পাওয়া সম্ভব হবে না। এটা আমাদের নিজেদের বিবেকের প্রশ্ন। সরকার জনগণের স্বার্থে কাজ করছে, আর জনগণই যদি সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার না করে, তবে সমস্যা সমাধান হবে না। বহদ্দারহাট বাজারের মত জায়গায় আমি দেখেছি, মার্কেটের ময়লা সব খালে ফেলা হচ্ছে, যার কারণে খালের নাব্যতা কমে যাচ্ছে এবং পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এই ধরনের অবহেলা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, প্লাস্টিক ও অন্যান্য আবর্জনা খুব দ্রুত অপসারণ করা যায় না, ফলে খালগুলোর মধ্যে জমে যাচ্ছে। মাটি এবং পলিথিন, পানি প্রবাহে সমস্যা সৃষ্টি করছে। আমরা এই মাটি এবং পলিথিন সরানোর কাজ করছি, কিন্তু তারপরও খালগুলো সঠিকভাবে চলমান রাখতে হলে সবার সচেতনতা জরুরি।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে যেসব বিষয়ে অবহিত করলেন সেনাপ্রধান
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা দীর্ঘদিনের, কিন্তু এখনই সময় সেই সমস্যা সমাধান করার। এ প্রকল্পের সুফল কেবল তখনই সম্ভব হবে যখন জনগণ তাদের দায়িত্বশীল আচরণ ও সচেতনতা দেখাবে। আমরা চাই জনগণ যাতে বুঝতে পারে যে, তাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। খালগুলো পরিষ্কার রাখলে, জলাবদ্ধতা কমিয়ে চট্টগ্রামবাসীকে একটি নিরাপদ ও স্বচ্ছ পরিবেশ দেয়া সম্ভব হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সিডিএ ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রমুখ।