চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ঘষামাজা করে ৪০ কোটি টাকার ট্যাক্স ফাঁকি

৪ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) ফিল্ড বুক ঘষামাজা করে অভিনব কায়দায় প্রায় ৪০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছে দুই প্রতিষ্ঠান। ২০২১-২০২৩ সালে কর রিভিউ শুনানির পর অডিটে এই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়লেও দীর্ঘ পাঁচ বছর বিষয়টি আড়ালে ছিল।

বর্তমান মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন তদন্ত কমিটি গঠনের পর অনিয়মের বিষয়টি উদঘাটন হয়। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তে নামে।

 

ফিল্ড বুক অনুযায়ী, এক প্রতিষ্ঠানের গৃহকর নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। পরে সাদা ফ্লুইড দিয়ে ঘষামাজা করে ‘দুই’ সংখ্যা মুছে ৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা দেখানো হয়।

 

২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে গৃহকর ফাঁকি দেয় ইছহাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, কর কর্মকর্তা নুরুল আলম ও উপকর কর্মকর্তা জয় প্রকাশ সেনের যোগসাজশে।

 

একইভাবে, আরেক প্রতিষ্ঠানের ২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা পরিবর্তন করে ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা দেখানো হয়। এই জালিয়াতির পেছনে ছিল ইনকন্ট্রেড লিমিটেড, কর কর্মকর্তা নুরুল আলম ও উপকর কর্মকর্তা আবদুল কাদেরের যোগসাজশে।

 

দীর্ঘদিন বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হলেও, চলতি বছরের জানুয়ারিতে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

 

বৃহস্পতিবার দুদকের প্রতিনিধি দল সিটি করপোরেশনে এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।

 

আরও পড়ুন: তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

 

দুদকের সহকারী পরিচালক সাদ ইমরান বলেন,

 

আমরা কাগজপত্র যাচাইয়ের পর নিশ্চিত হতে পারবো কোথায় কোথায় অনিয়ম হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কিছু অসঙ্গতি ইতোমধ্যেই ধরা পড়েছে।

 

চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফ আমিন বলেন,

 

আমরা অনিয়মের বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত কমিটি করেছি। সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। যেই জড়িত থাকবে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

 

দুদক জানিয়েছে, তদন্ত শেষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কর ফাঁকিতে জড়িত দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন