নিহত দেড় বছরের শিশু খাদিজা খাতুন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের মেয়ে।
মা আসমা খাতুন কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের স্ত্রী ও একই উপজেলার বাটরা গ্রামের আব্দুল মাজেদের মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বাটরা গ্রামের আব্দুল মাজেদের মেয়ে আসমার সাথে একই উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের বিয়ে হয় ২০২১ সালের জুন মাসে। পরবর্তীতে আসমার গর্ভে তানভির হোসেন টাইগার ও খাদিজা খাতুন নামে দুটি সন্তানের জন্ম হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় অপহৃত এসএসসি পরীক্ষার্থী সাতক্ষীরায় উদ্ধার
আসমা খাতুনের বোন রেশমা খাতুন জানান, সম্প্রতি আসমা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। সেকারণে তাকে আসমাকে চিকিৎসার জন্য শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে নিয়ে আসেন। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসমা তার মেয়ে খাদিজাকে ঘরের বারান্দায় রেখে ঘুম পাড়াচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর আসমা রান্না ঘর থেকে ধারালো বটি নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় খাদিজার গলা কেটে হত্যা করেন। পরে পাঁচ বছর বয়সের ছেলে তানভির হোসেন টাইগারকেও হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাব্বর হোসেন জানান, শিশু সন্তানকে হত্যার পর আসমা সেখানেই বসে ছিলেন। মানসিক ভারসাম্য হারানোর ফলে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ৩০ বিঘা খাস জমি উদ্ধারসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, আসমা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশু খাদিজার মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের চাচা কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
]]>