আওয়ামী সরকারের নেয়া মেগা প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। অন্যান্য মেগাপ্রকল্প আলোর মুখ দেখিয়ে যখন লোকসান গুণছে প্রতিমাসে, তখন উদ্বোধনী ডামাডোলই বাজাতে পারেনি প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ তৃতীয় টার্মিনাল। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে টার্মিনালটি কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও এখনও বাকি রয়ে গেছে কিছু কাজ।
টার্মিনালটি নির্মাণে ১৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী, টার্মিনালটি ব্যবহার করে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছিল চলতি বছরের অক্টোবর মাস। আর ঋণ পরিশোধ শুরু হওয়ার কথা চলতি মাস থেকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ায় পরিকল্পনায় গলদ দেখছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ, যা জানালেন উপদেষ্টা
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ নাফিজ ইমতিয়াজ উদ্দিন সময় সংবাদকে বলেন,
এত বড় একটা বিনিয়োগ, এটা চালু না করলে রিটার্ন আসবে কি করে। কিছু তো ঘাটতি ছিল, এরমধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। এখন তো দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য বড় বড় প্রকল্পেও গলদ আছে।
বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তৃতীয় টামিনাল চালু হতে পারে আগামী ডিসেম্বর। প্রস্তাবনায় দেয়া হবে, রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে ঋণ পরিশোধ শুরু করার।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া বলেন,
আমাদের প্রচেষ্টা আছে যতদ্রুত চলাচলে নিয়ে আসা। দ্রুতই এটা অপারেশনে নিয়ে আসতে হবে। তাহলে রেভিনিউ আসাটা শুরু হবে। পাশাপাশি জাইকার ঋণটাও তো পরিশোধ করতে হবে।
অন্য খাত থেকে নয়, নতুন টার্মিনালের আয় থেকেই ঋণ পরিশোধের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ মো. মুজিবল হক বলেন,
আমদানি-রফতানি ও যাত্রী বহন বলা হোক না কেন, এখানে ৩ দিক থেকে অর্থ আসার রাস্তা আছে। আমাদের দেশের সক্ষমতা অনুসারে এ প্রজেক্টটাকে যতদ্রুত সম্ভব অপারেশনে নিয়ে আসা উচিত। আমরা যেন ঋণগ্রস্ত না হয়ে পড়ি বা অন্য জায়গা থেকে অর্থ এনে এর টাকা পরিশোধ করতে না হয়; সেজন্য দ্রুত এটা চালু করতে হবে।
জাইকার বিনিয়োগ করা প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা পরিশোধে বছরে সিভিল এভিয়েশনকে দিতে হবে প্রায় ৮৩২ কোটি টাকা।
]]>