গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর প্রস্তাব ডেনমার্কের

৩ সপ্তাহ আগে
এবার গ্রিনল্যান্ডে সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রস্তাব দিয়েছে ডেনমার্ক। দ্বীপটি দখলে ট্রাম্পকে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে দেশটি এ কৌশল অবলম্বন করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস।

গ্রিনল্যান্ড কিনতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের পর প্রতিমুহূর্তে নাটকীয় মোড় নিচ্ছে পরিস্থিতি। ট্রাম্পের স্বপ্ন কখনোই বাস্তব হবে না এমন দৃঢ় প্রত্যয়ের মধ্যেই সুর কিছুটা নরম করেছে ডেনমার্ক। ট্রাম্পের সঙ্গে চলমান ইস্যুতে আলোচনা করতে একদিন আগেই রাজি হন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেদে।

 

এরপরই গ্রিনল্যান্ডের মাটিতে সামরিক উপস্থিতির পাশাপাশি দ্বীপটির নিরাপত্তা বাড়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রস্তাব দেয় ডেনমার্ক। স্থানীয় সময় শনিবার ব্যক্তিগত এক ক্ষুদেবার্তায় তাকে এ প্রস্তাব দেয় দেশটির প্রশাসন।

 

অ্যাক্সিওস জানায়, দ্বীপটি দখলে ট্রাম্পকে নিরুৎসাহিত করতে চায় ড্যানিশ সরকার। এ প্রস্তাবের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গে সংঘর্ষের এড়িয়ে চলার কৌশল খুঁজছে তারা। নর্ডিক দেশটি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র।

 

আরও পড়ুন: চেক প্রজাতন্ত্রের রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণে নিহত ৬

 

এর আগে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিকসেন জানান, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়। তবে আর্কটিক অঞ্চলের দ্বীপটি যদি কখনও স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সেক্ষেত্রে গ্রিনল্যান্ডের জনগণই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

 

আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষমতা নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগেই পানামা খালে আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি গ্রিনল্যান্ড দখলের কথা বলছেন তিনি। ট্রাম্প মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা নেয়া জরুরি।

 

গত ডিসেম্বর মাসে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি। এরপর গত সপ্তাহেও ফের বলেন, প্রয়োজনে সামরিক ও অর্থনেতিক শক্তি ব্যবহার করবেন তিনি। এ মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক উসকে দেয়।

 

আরও পড়ুন: ফ্রান্সে দুই ট্রামের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০ 

 

তবে গ্রিনল্যান্ডের দিকে ট্রাম্পের এমন মন্তব্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৯ সালে তিনি গ্রিনল্যান্ডকে মার্কিন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। তবে ওই সময় ডেনমার্ক তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। 

 

গেল মঙ্গলবার গ্রিনল্যান্ড নিয়ন্ত্রণে নেয়ার বিষয়ে নিজের অনড় অবস্থানের কথা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, আর্কটিক দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন