রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে আটটায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানান, রোববার সকাল সাড়ে আটটায় পাশাপাশি অবস্থিত কারখানা দুইটির গ্যাস লাইন চালু রেখেই আর এম এস কন্ট্রোল রুম সম্প্রসারণের কাজ চলছিল। গ্যান্ডিং মেশিন দিয়ে ঝালাইয়ের কাজ করার সময় বিকট শব্দ হয় এবং আগুন ধরে যায়।
এসময় শ্রমিক আল আমিন, আজিজুল্লাহ, সেলিম, জালাল মোল্লা, নাজমুল হুদা ও সিকিউরিটি গার্ড সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদ আগুনে দগ্ধ হন। আগুনে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ঝলসে যায়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে সিসা তৈরির কারখানায় আগুন, ৭ শ্রমিক দগ্ধ
পরে গুরুতর অবস্থায় দগ্ধদের উদ্ধার করে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।
বেলা সাড়ে এগারোটায় খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ও বিসিক ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা বিসিক ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘বেলা সাড়ে এগারোটায় খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে আহত কাউকে পাইনি। দুর্ঘটনার পর পর কারখানা কর্তৃপক্ষ নিজেরাই আগুন নিভিয়ে আহতদের ঢাকায় প্রেরণ করেছে।’
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ তুহিন মারা গেছেন
তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাস সরবরাহ চালু রেখে ঝালাইয়ের কাজ করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। গ্যাসের কাজ করতে হলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে সতর্কতার সাথে কাজ করতে হয়। সেটা না করেই তারা ঝালাইয়ের কাজ করেছিল। যে কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে নোটিশ দেবো। যাতে তারা সতর্কতার সাথে কাজ করে।’

৩ সপ্তাহ আগে
৭







Bengali (BD) ·
English (US) ·