গোপালগঞ্জের উচ্ছে যাচ্ছে ১৫ জেলায়

৪ সপ্তাহ আগে
গোপালগঞ্জের ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে খনিজ উপাদানে ভরপুর উচ্ছে বা ছোট জাতের করোলা চাষ। জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্তত ১৫টি জেলায়। ভাল ফলন ও লাভ বেশি হওয়ায় উচ্ছে চাষের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা।

কৃষকের দাবি, অন্য ফসল থেকে ৪ গুনেরও বেশি লাভ হয় এ সবজিতে। মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি থাকায় এ অঞ্চলের উচ্ছেতে স্বাদ ভাল, তাই চাহিদাও বেশি। এ কারণেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ক্ষেত থেকে উচ্ছে সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। ভালো ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত তারা।


কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, সদর উপজেলা, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ায় ৫শ’ হেক্টর জমিতে উচ্ছে চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে হেক্টর প্রতি উচ্ছের ফলন হবে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিকটন। হেক্টর প্রতি ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ বাদে গড়ে ৪০ টাকা দরে কেজি বিক্রি করতে পারলে প্রতি হেক্টর জমিতে সম্ভাব্য লাভ হবে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা। অন্য যে কোনো সবজি থেকে অধিক লাভ হওয়ায় উচ্ছে চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। 


জেলার চাহিদা মিটিয়ে উচ্ছে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরাসহ অন্তত ১৫টি জেলায়।


আরও পড়ুন: তেতো করলায় মিষ্টি হাসি গোপালগঞ্জের চাষিদের

কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়া গ্রামের কৃষক গৌরাঙ্গ সরকার বলেন, ‘এ অঞ্চলের জমিতে সাধারণত বছরে একবার ধান চাষ করা হতো। তুলনামূলক উচু জমিতে ৫/৬ বছর আগে থেকে উচ্ছে চাষ শুরু হয়। আস্তে আস্তে আবাদ বৃদ্ধি পায়। যারা উচ্ছে চাষ করেছে তারাই লাভবান হচ্ছে।’


প্রিয়া সরকার জানান, ‘উচ্ছে চাষে অধিক লাভ হওয়ায় পরিবারের নারী সদস্যরাও ক্ষেতে কাজ করছে। এ বছর শুরুর দিকে ৯০ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে উচ্ছে বিক্রি করা হয়েছে। আগামীতে আরো বেশি জমিতে উচ্ছের আবাদ করব।’

আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ / মিষ্টি কুমড়ার ভালো ফলনেও হাসি নেই কৃষকের মুখে

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আ. কাদের সরদার জানান, গোপালগঞ্জ জেলায় মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে উচ্ছের সাদ অনেক বেশি হয়। তাই বিভিন্ন জেলায় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অন্য যে কোনো মাঠ ফসলের চেয়ে উচ্ছে চাষে কৃষক বেশি লাভবান হচ্ছে। বেশি লাভবান হওয়া কৃষক আরও অনুপ্রাণিত হচ্ছে। কৃষিবিভাগ সকল কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন