গোপালগঞ্জ শহরের সড়কেই বাস-ট্রাক স্ট্যান্ড, যানজটে ভোগান্তি

৩ সপ্তাহ আগে
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বছরের পর বছর ধরে দখল করে রাখা হয়েছে বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড হিসেবে। সড়কের এক লেন জুড়ে এ যানবাহনগুলো দাঁড়িয়ে থাকায় প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে যানজট ও জনদুর্ভোগ।

মালিক ও শ্রমিকদের দাবি, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় তারা বাধ্য হয়েই রাস্তাকে স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন।

 

শহরের কুয়াডাঙ্গা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের এক লেন দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বাস স্ট্যান্ড। এতে শহরে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটিতে সারাদিন যানজট লেগে থাকে।

 

বাস মালিক মো. ফিরোজ বলেন, ‘শহরের বেদগ্রাম এলাকায় একটি বাস টার্মিনাল রয়েছে, তবে সেটি খুবই জরাজীর্ণ। জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে যে ২৮৮টি বাস চলাচল করে, তার এক-চতুর্থাংশেরও জায়গা হয় না টার্মিনালে। ফলে রাস্তায় বাস রাখতে হচ্ছে। এতে যেমন সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, তেমনি মালিক ও শ্রমিকদেরও পড়তে হচ্ছে বিপাকে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘রাতে বাসের ব্যাটারিসহ নানা মালামাল চুরি হচ্ছে, মাঝেমধ্যেই পুলিশি হয়রানিরও শিকার হতে হচ্ছে।’

 

শহরের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট স্টেডিয়াম সড়কে গড়ে উঠেছে ট্রাক স্ট্যান্ড। দিন-রাত সড়কের একটি লেন দখল করে রাখা হয় ট্রাক, এমনকি রাস্তার উপরেই পণ্য খালাস করা হয়। এতে যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত।

 

আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে গোপালগঞ্জে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

 

ট্রাক মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, সমিতির অধীনে প্রায় ৩০০ ট্রাক ও পিকআপ রয়েছে।

 

অপরদিকে, সিটি কলেজ সড়ক এবং সড়ক ভবনের সামনের বাইপাস ব্যবহার করা হচ্ছে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড হিসেবে। রেন্ট-এ-কার সমিতির তথ্যমতে, দুটি স্ট্যান্ডে প্রায় ৩০০ মাইক্রোবাস রয়েছে।

 

মাইক্রোবাস চালক মো. ফেরদাউস শেখ বলেন, ‘আমি ৩০ বছর ধরে এই পেশায় আছি, দেশের অনেক জেলায় ঘুরেছি—সবখানেই সরকারি মাইক্রো স্ট্যান্ড রয়েছে। কিন্তু গোপালগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরেও এ দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখতে হয়।’

 

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘স্ট্যান্ড নির্মাণসহ জনভোগান্তি কমাতে আমাদের উদ্যোগ চলমান। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধানে যাওয়া হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন