গোঁফে লাগা খাবার ও পানি কি হারাম?

১ সপ্তাহে আগে
পুরুষের চেহারায় থাকা গোঁফ ও দাড়ি নিয়ে আদিকাল থেকে বিভিন্ন রীতি থাকলেও সব নবীর সুন্নত হলো গোঁফ ছোট করা এবং দাড়ি লম্বা করা।

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতকে নির্দেশ দিয়েছেন গোঁফ খাটো করতে এবং দাঁড়ি লম্বা করতে। হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) বলেন,

 

৫টি কাজ ফিতরতের (মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতার) অন্তর্ভুক্ত; খতনা করা, নাভির নিচের পশম কাটা, নখ কাটা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা এবং গোঁফ ছাঁটা (বুখারি, মুসলিম)। আরেকটি বর্ণনায় রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, তোমরা দাড়ি লম্বা করো, গোঁফ খাটো করো (বুখারি)।

 

এজন্য প্রত্যেক মুসলমানের উচিত গোঁফ ছোট করে রাখা। তবে সমাজে অনেককেই গোঁফ লম্বা করে রাখতে দেখা যায় যা একটি নিন্দনীয় কাজ। তাই বলে গোঁফে লাগা খাবার ও পানি খাওয়া হারাম এমন কথা কোরআন ও হাদিস সমর্থিত নয়।

 

আরও পড়ুন: জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাব দেয়া যাবে কি?

 

অনেকে মনে করেন, গোঁফ যদি খাটো না করা হয় আর পানি পান করতে গিয়ে পানি গোঁফে লাগে, তাহলে ওই পানি নাপাক হয়ে যায়। ওই পানি পান করা হারাম হয়ে যায়। এ ধারণার একেবারেই অমূলক। এর কোনো ভিত্তি নেই। গোঁফ তো নাপাক কিছু নয় যে গোঁফে পানি লাগলে ওই পানি নাপাক হয়ে যাবে। গোঁফ ছোট রাখা আবশ্যক এটা ঠিক আছে, কিন্তু গোঁফ বড় রাখলে এবং তাতে খাবার-পানীয় লাগলে সেগুলো হারাম হয়ে যাবে শরিয়তে এ রকম ধারণার কোনো ভিত্তি নেই।

 

লক্ষণীয়, প্রতি সপ্তাহে জুমার গোসলের আগে নখ কাটা, গোঁফ ছাঁটা, নাভি ও বগলের নিচের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা উচিত। প্রতি সপ্তাহে সম্ভব না হলে প্রতি ২ সপ্তাহে একবার, এর চেয়েও বিলম্ব হলে সর্বোচ্চ ৪০ দিনে যেন একবার অবশ্যই গোঁফসহ সব অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা হয়। এর চেয়ে দেরি করা মাকরুহ।

 

হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নখ ও গোঁফ কাটা এবং বগলের চুল উপড়ানো ও নাভির নিচের পশম পরিষ্কারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তা যেন ৪০ রাতের বেশি না রাখা হয়।’ (মুসলিম)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন