বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, গুমের একদিন পর পঞ্চগড় থেকে অচেতন ও হাত-পা শিকল পরিহিত অবস্থায় ইমাম মহিবুল্লাহ মিয়াজীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়ার পর তার দেওয়া বক্তব্যে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, ইমামের বক্তব্য অনুযায়ী অপহরণকারীদের মুখের ভাষায় বাংলাদেশের শুদ্ধ বা আঞ্চলিক কোনো উচ্চারণ ছিল না। অপহরণের আগে গত ১১ মাস ধরে তাকে বেনামি চিঠি দিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এসব চিঠিতে তাকে অখণ্ড ভারত ও ইসকনের পক্ষে কথা বলতে এবং বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক ও দেশপ্রেমিক দলগুলোর বিরুদ্ধেও বক্তব্য দিতে বলা হয়। সবশেষ ২১ অক্টোবর প্রাপ্ত চিঠিতে তাকে ‘কোরআন’, ‘ইসলাম’, ‘আল্লাহ’ শব্দ ব্যবহার না করারও নির্দেশ দেয়া হয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে ইমামকে গুমের প্রতিবাদ জানিয়ে যা বলল হেফাজত
খেলাফত মজলিসের বিবৃতিতে বলা হয়, ইমামের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, একটি সুসংগঠিত অপশক্তি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও দেশপ্রেমিক ইসলামী শক্তির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপশক্তি নিরীহ হিন্দু সম্প্রদায়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টায় লিপ্ত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি গাজীপুরে ১৩ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে কয়েকজন হিন্দু যুবক মিলে ধর্ষণ করলেও একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই ঘটনাটিকে প্রেমঘটিত বিষয় হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। গত বছর চট্টগ্রামে একজন মুসলিম আইনজীবীও উগ্রবাদীদের হাতে নিহত হন। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই চক্রের অর্থ ও প্রভাববলয়ের কারণে বহু মানুষ ধর্মীয় কর্মকাণ্ড ও সম্পত্তি রক্ষায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
দলটির নেতারা প্রশাসনকে এই অপশক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান এবং উগ্রবাদী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি করেন। একই সঙ্গে তারা ইমাম মহিবুল্লাহ মিয়াজীকে গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
]]>
৪ সপ্তাহ আগে
৪







Bengali (BD) ·
English (US) ·