২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত একাধিক সংস্থার জরিপে উঠে এসেছে, যানবাহন চালকদের অনেকেই নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগলেও নিয়ম মেনে চিকিৎসা নেয়ার সংখ্যা হাতেগোনা। চিকিৎসায় অনীহা নয় বরং নানা সীমাবদ্ধতা ও সংকটকে দুষছেন তারা। চালকরা জানান, ধুলাবালিতে গাড়ি চালাতে হয়, এতে নানারকম রোগবালাই লেগেই থাকে। তবে অনেক চালক-হেলপার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা জানেন না।
সংস্থাগুলো বলছে, গাড়ি চালানোর জন্য সম্পূর্ণ সুস্থ নন ৬০ শতাংশ চালক। জরিপে প্রাপ্ত ফলকে উদ্বেগজনক বলছেন তারা। ভিশনস্প্রিংয়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিশা মাহজাবীন বলেন, ১ হাজার চালকের চোখ পরীক্ষা করে ৮০ ভাগেরই চোখে সমস্যা পাওয়া গেছে।
আহছানিয়া মিশন হেলথের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর শারমিন রহমান বলেন, জরিপে ৪৯ শতাংশ চালকের মধ্যে ব্লাড সুগারের সমস্যা পাওয়া গেছে। এছাড়া ৩৭ শতাংশের চালকের মধ্যে ব্লাড প্রেসারের সমস্যা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লক্কর-ঝক্কর গণপরিবহন, অভিযানেও সুফল মিলছে না কেন?
চালকের শারীরিক অসুস্থতা যাত্রীদের জন্য বড় বিপদের কারণ হতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেসের সহকারী অধ্যাপক ডা. বশির আহমেদ খান বলেন, চালকের শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও মানসিক শক্তি থাকতে হবে। তাদেরকে নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে; যাতে তারা মাদকাসক্ত না হয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি বছর হাজারো প্রাণহানি ঘটলেও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সরকার ও মালিক সমিতি। অনীহা ও উদাসীনতা দেখিয়েছে চালকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে।
পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, মালিকরা প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকায় মুনাফা করতে গিয়ে চালকদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখেন না। ফলে অনেক চালক ন্যূনতম বিশ্রাম নেয়ার সুযোগও পান না অনেক সময়।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি বলছে, অংশীজনদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে চালকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম বলেন, চালকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য দেশব্যাপী মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উন্নতমানের একটি হাসপাতাল তৈরির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।
নানা আশ্বাস ও সম্ভাবনার কথা জানালেও তা কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেনি সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৫







Bengali (BD) ·
English (US) ·