বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) তারা হোটেল থেকে বের হয়ে সিলেটে আসেন।
ভুক্তভোগী কিশোরীরা জানান, বাড়ির পাশের একটা মহিলা গার্মেন্টসে কাজ দেয়ার কথা বলে তাদেরকে সেখানে নিয়ে গিয়ে হোটেলে আটকে রেখে ১৪ দিন পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। ওই দুই কিশোরীর বাড়ি সিলেটের শাহপরান থানা এলাকায়।
কিশোরীদের অভিযোগ, তাদের পাশের বাড়ির এক মহিলা কক্সবাজারে গার্মেন্টসে কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বললে তারা রাজি হন। গত ৭ এপ্রিল তারা ওই মহিলার সঙ্গে কক্সবাজারে গেলে প্রথমে তার ছেলে ইমনের বাসায় উঠে গোসল ও খাওয়া দাওয়া সারেন। পরদিন তাদেরকে গার্মেন্টসে নেয়ার নাম করে কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ইমন তাদেরকে সেখানে রেখে চলে আসে। তখন তারা এখানে কেন জানতে চাইলে হোটেল স্টাফরা তাদেরকে একটি কক্ষে নিয়ে বসে রাখে। তারপর সেখানে টানা ১৪ দিন তাদের ওপর চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন।
এদিকে, মেয়েদের খোঁজ না পেয়ে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ৯ এপ্রিল শাহপরান থানায় জিডি করেন অভিভাবকরা। বিষয়টি জানতে পেরে ওই মহিলা তাদের বলে সিলেট এসে জিডি তুলে নিতে এবং তার ছেলেকে বলে তাদের ছেড়ে দিতে। তখন ইমন তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে বলে ‘আর কখনো কক্সবাজারে আসবি না’।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে অপহৃত ৩ শ্রীলঙ্কান নাগরিক উদ্ধার, গ্রেফতার ৪
কিশোরীরা জানান, ওই ১৪ দিন আমরা আমাদের পরিবারের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে পারিনি। আমাদেরকে ফোন হাতে দেয়া হত না। দিনের পর দিন হোটেলে আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। বিষয়টি ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানালে ওই দুই কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করে।
এদিকে, শাহপরান থানার এসআই সোহেল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ওই দুই কিশোরীর মা-বাবা তাদেরকে নির্যাতন করতো, ঘরে আটকে রাখতো। তাই অভিমান করে পূর্ব পরিচিত ওই নারীর ফাঁদে পা দেয়। কাজের জন্য তাদেরকে সেখানে নেয়া হয়েছিল কিনা বিষয়টি আমার জানা নেই।’
তবে সেখানে পাশবিক নির্যাতনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘একটি বাসায় তাদেরকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে তারা সেখান থেকে মুক্ত হয়ে সিলেটে আসেন।’