সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, অবিলম্বে নিঃশর্ত এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে তোলা প্রস্তাব নিয়ে ভোটে ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৫৮টি ভোট পড়ে দাবির পক্ষে। অনুপস্থিত ছিল ১৩ সদস্য দেশ, আর বিপক্ষে পড়েছে ৯ ভোট।
যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি দেয়া নিয়ে এ ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কাজের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আসাদের পতনের নেপথ্যে ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল
ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে এবং ইসরাইলের জাতিসংঘের সংস্থার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করবে এমন একটি নতুন ইসরাইলি আইনের নিন্দা জানানোর দ্বিতীয় প্রস্তাবটির পক্ষে ১৫৯টি, বিপক্ষে ৯টি ভোট পড়ে। ১১ সদস্য ভোটে বিরত ছিল।
সপ্তাহ তিনেক আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোয় বাতিল হওয়ার পরই এই বৈঠকের বিষয়টি আলোচনায় আসে। সাধারণ পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের মতো এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেরও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
স্লোভেনিয়ার জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত স্যামুয়েল জবোগার সাধারণ পরিষদের বৈঠকে বলেছেন, গাজার আর কোনো অস্তিত্ব নেই। এটা ধ্বংস হয়ে গেছে। বেসামরিক মানুষ ক্ষুধা, হতাশা এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ, কোথায় গিয়ে থামবে ইসরাইল?
তিনি বলেন, এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের এখন যুদ্ধবিরতি দরকার। আমাদের এখন জিম্মিদের বাড়িতে নিয়ে আসতে হবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এরই মধ্যে ৪৪ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।