গাজায় শান্তিরক্ষী পাঠাতে প্রস্তুত মালয়েশিয়া, গুতেরেসকে জানালেন আনোয়ার ইব্রাহিম

৩ সপ্তাহ আগে
গাজায় শান্তিরক্ষী পাঠাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্যদসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে গাজায় এই শান্তিরক্ষী মিশনে যোগ দিতে প্রস্তুত কুয়ালালামপুর।

মালয়েয়িশার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বার্নামার প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (২৬ অক্টোবর) কুয়ালালামপুরে ৪৭তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়া জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আনোয়ার এই মন্তব্য করেন।

 

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, মালয়েশিয়া ফিলিস্তিনি সংগ্রামের প্রতি তার দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং জাতিসংঘের ধারাবাহিক অবস্থানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। যা নিশ্চিত করেছে গাজায় ইসরাইলি সরকারের মানবিক সহায়তা অবরোধ আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

 

বৈঠকে আনোয়ার ও গুতেরেস আসিয়ানের সভাপতি মালয়েশিয়ার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। তার মধ্যে ছিল থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনা সহজ করা ও মিয়ানমারে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপকে উৎসাহিত করা।

 

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনে নির্বাচন চায় হামাস

 

মার্কিন প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনার আওতায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় গত ১০ অক্টোবর হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে।

 

এদিকে যুদ্ধবিরতি তৃতীয় সপ্তাহে গড়ালেও, ধ্বংসস্তূপ আর অনিশ্চয়তা নিয়ে বেঁচে আছেন গাজাবাসী। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো লুকিয়ে রাখা আছে প্রায় ৬৬ হাজার টন বিস্ফোরণহীন গোলাবারুদ। মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি টিকলেও, প্রতিদিনই এসব বোমার ঝুঁকিতে হাজারো মানুষ। শিশুরা ধ্বংসস্তূপে খেলতে গিয়ে বহুবার প্রাণ হারিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: গাজার সব টানেল ধ্বংসের নির্দেশ

 

ইসরাইলের অনুমতিতে গাজায় প্রবেশ করেছে মিশরীয় দল ও আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা রেড ক্রস। এ পর্যন্ত ১৫টি লাশ ফেরত দিয়েছে হামাস, কিন্তু পাঁচ দিন ধরে নতুন কোনো লাশ হস্তান্তর হয়নি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অগ্রগতি না হলে নতুন পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন